মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের উদ্যোগে বর্ধমান সার্কিট হাউসে সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের নিয়ে এক বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সংখ্যালঘু কমিশনের রাজ্য চেয়ারম্যান মমতাজ সংঘমিতার নেতৃত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । এখানে মেমারি মামুন ন্যাশনাল স্কুলের সম্পাদক কাজী ইয়াসিন সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে পরামর্শ চান কিভাবে সরকারি বই মিলবে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির জন্য। তিনি প্রকাশ্যে বলেন সরকারি বই একপ্রকার ’ ‘চুরি’ করে তারা স্কুল চালাচ্ছেন কারণ এই সরকারি বই গুলি বিক্রি হয় না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমতি প্রাপ্ত বেসরকারি সংখ্যালঘু স্কুলগুলোতে বই পাওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি সংখ্যালঘুদের শিক্ষায় এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। অনেক ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বিজ্ঞানি তৈরি করছে । অনেক ক্ষেত্রে সরকারি আধিকারিকদের অসহযোগিতার পলে সংখ্যালঘুদের পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান মাদ্রাসা শিক্ষা সংগঠনের তরফ থেকে আসিফ ইকবাল বলেন, বর্ধমানের বেশিরভাগ মাদ্রাসায় ক্লাক ও পিওনের অভাব আছে এতে মাদ্রাসা পরিচালনা করতে খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান মমতাজ সংঘমিতা সমস্ত অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শোনেন । সমস্ত সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডোমার অসহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। কোটি কোটি টাকার ওয়াকফ সম্পত্তি বেদখল হয়ে গেলেও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ। এছাড়া বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও বি সি সংরক্ষণ নীতি না মানার অভিযোগ উঠে।। মমতাজ সংঘমিতা বলেন, রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশন সব সমস্যার সমাধান করতে পারবে না তবে উপযুক্ত প্রতিনিধিদের কাছে সমস্যার কথা তুলে ধরবে। এদিনের বৈঠকে শিখ , জইন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা, শিক্ষা রত্ন পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক উজির আলী ও বিভিন্ন ওয়াকফের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct