নাজিম আক্তার, রতুয়া, আপনজন: দুর্নীতি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভরে গেছে দল। কোনো দলীয় নিয়মশৃঙ্খলা নেই। টাকার বিনিময়ে দেওয়া হচ্ছে পদ। এমনই একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন চাঁচল বিধানসভার তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মনোজ রাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মনোজবাবু। জেলা সভাপতিকেও পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন বলে খবর। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জানা যায়,কিছুদিন আগেই হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের ব্লক কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বেসুরো হয়েছিলেন অঞ্চল সভাপতি। এমনকি বিধায়ক নিহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন টাকার বিনিময়ে দলীয় পদ দেওয়া হয়।জল্পনা শুরু হয়েছিল দল ছাড়ছেন তিনি। অবশেষে সেই জল্পনা সত্যি হলো। সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন,’আজ থেকে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম ও তুলসীহাটা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম।’এরপর তিনি মালদা জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সিকে স্পিড পোস্ট মারফত পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দল ছাড়েন। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করে বলেন,রাজ্য স্তর থেকে শুরু করে বুথ স্তর পর্যন্ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
দলীয় স্বার্থের থেকে প্রাধান্য পায় বেশি ব্যক্তি স্বার্থ। কেউ দলীয় অনুশাসন মেনে চলে না। এমনকি এলাকার বিধায়ক মোটা টাকার বিনিময়ে সাংগঠনিক পদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেন তিনি।নিজের এলাকার দলীয় কার্যালয় থেকে তৃণমূলের পতাকা এবং ফ্লেস্ক সড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও তার বিরুদ্ধে ওটা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে বলেছেন চাঁচল বিধানসভার বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ।পাল্টা তিনি তোপ দেগেছেন মনোজ রাম কে।এদিকে মনোজ রামের ক্রমশাই অন্য দলে যাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। যদিও তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন আপাতত তিনি কোন দলে যাচ্ছেন না। বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ বলেন,” কে দলে থাকবে বা থাকবে না সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি কেন দল ছেড়েছেন বলতে পারব না। উচ্চ নেতৃত্ব ব্যাপারটা দেখবে। তবে পঞ্চায়েত ভোটে কোন প্রভাব পড়বে না।”সিপিআইএম নেতা প্রনব দাস জানান,তৃনমূল দলটি দুর্নীতিতে ভরে গেছে।একে একে তৃনমূল নেতা ইডি ও সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হতে শুরু করেছে।কথায় বলে,’সমুদ্রে নৌকা ডুবি হলে প্রথমে ইঁদুর ছুটে পালায়।’তাই হতে শুরু করেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct