এহসানুল হক, বসিরহাট, আপনজন: করোনার কারণে দুই বছর ধরে টাকিতে দুর্গা পুজো প্রতিমা বিসর্জন হয়নি। এবছর একটু স্বাভাবিক হতেই টাকিতে প্রতিমা বিসর্জনের কথা ভাবনা চিন্তা করছে প্রশাসন। বিসর্জনের দিন টাকিতে ইছামতী বক্ষে মিলিত হয় দুই বাংলা। দুদেশের পুজোর বিসর্জন হয় ইছামতীতে। আর তা দেখতে মানুষের ঢল নামে ইছামতীর তীরে। কিন্তু করোনা কথা মাথায় রেখে গত দুই বছর দর্শকদের বিসর্জনের দিন নদী বক্ষে নৌকো নিয়ে নামার অনুমতি ছিল না প্রশাসনের।
বৃহস্পতিবার টাকিতে ইছামতীবক্ষে নৌকো বৈঠকে মিলিত হন ভারত ও বাংলাদেশের পুলিস প্রশাসনের কর্তা ও দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন টাকি পৌরসভার পৌর চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখার্জি, টাকি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজী সহ একাধিক আধিকারিক। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়,এ বছরে ইছামতির টাকিতে দুর্গাপূজয় প্রতিমা বিসর্জন হবে। দুই দেশের মানুষেরা নামতে পারবে নদীতে। কিন্তু মাঝখানে একটি সীমারেখা থাকবে। বাংলাদেশের মানুষেরা সেই সীমারেখার মধ্যে দিয়ে যেতে পারবে। অন্যদিকে ভারতের মানুষেরা সীমারেখার ওপারে যেতে পারবে না। বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন বসিরহাটের টাকি পৌর সভার উপর চেয়ারম্যান ফারুক গাজী বলেন, আজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীপক্ষে এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে এবার ইছামতিতে প্রতিমা বিসর্জন হবে। কিন্তু কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। নদীর মাঝ বরাবর একটি সীমারেখা তৈরি হবে। পাশাপাশি আতশবাজির প্রদর্শনী হবে টাকি পৌরসভার পক্ষ থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন দিতে। এই দিনটার জন্য তাকিয়ে থাকে দূর-দূরান্ত থেকে আসা বহু পর্যটকরা। তারা ভারত -বাংলাদেশের যে প্রতিমা বিসর্জন এইটা দেখার জন্য। সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে এমনটাই দাবি চেয়ারম্যানের। ব্যবসায়ীরা বলেন, দুই বছর আমরা ব্যবসা করতে পারছি না। খুব মন্দা যাচ্ছে। প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এবার দুর্গাপূজোয় প্রতিমা বিসর্জন হবে টাকিতে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct