সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, কলকাতা, আপনজন: হাওড়া জেলার আমতার খুন হওয়া প্রতিবাদী ছাত্র নেতা আনিস খান মামলায় প্রধান সাক্ষীকে হত্যার চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট আইএসএফ ও ওয়েলফেয়ার পার্টি অব ইন্ডিয়া ডব্লুপিআই। শনিবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দুই রাজনৈতিক দল ঘটনার নিন্দা জানিয়ে কঠোর শাস্তি দাবি করেছে। পাশাপাশি শাসক তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে তারা। রাতের অন্ধকারে খুন হয়ে যাওয়া প্রতিবাদী ছাত্র নেতা আনিস হত্যা মামলায় প্রধান সাক্ষী সালমান খান সম্পর্কে আনিসের চাচাতো ভাই। জানা গেছে আনিস হত্যায় দোষীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলনে ও শাস্তির দাবিতে সোচ্চার ছিলেন সালমান খান। শুক্রবার রাতে তিনি ঘরের বাইরে বার হলে দুস্কৃতীরা তাকে এলোপাতাড়ি কোপ মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আনিস খানের পিতা সালেম খান হামলার ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। ঘটনায় স্থানীয় প্রধান ও বিধায়কের হাত রয়েছে বলে তার অভিযোগ। যদিও তৃণমূল বিধায়ক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন ঘটনায় তৃণমূলের কোনো যোগ নেই। পারিবারিক কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে বিধায়কের দাবি। ঘটনায় শাসক দল ও সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে আইএসএফ ও ওয়েলফেয়ার পার্টি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে দল দুটি। আইএসএফ চেয়ারম্যান বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, “আমরা কি জঙ্গলের রাজত্বে বাস করছি? সাক্ষ প্রমাণ লোপাট করতেই কি হত্যা চেষ্টা? একটা রাজ্য কতটা রসাতলে গেলে দুস্কৃতীরা এরকম বেপরোয়া হতে পারে? আমরা এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছি ও অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।”অন্যদিকে ডব্লুপিআই সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার হাসান বলেন, “ রাজ্যে নৈরাজ্যময় অবস্থা চলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের শাসন শেষ না হলে মানুষের মুক্তি নেই। আনিসের মৃত্যুর এতদিন পর ও দুস্কৃতীরা শাস্তি পাইনি। দুস্কতকারীরা বুঝে গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শাস্তি হবে না। যারা আনিসের ভাইকে আক্রমণ করেছে, তারা আনিস খুনে জড়িত কিনা তদন্ত করে দেখা হোক। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করা হোক।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct