সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: রাজ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই ব্যবসায়ীদের বাড়িতে রেড হচ্ছে ।এভাবে রেড হলে ব্যবসায়ী ভয় পাবেন ।রাজ্যের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। শনিবার গার্ডেন দিয়েছে ইডির তল্লাশি প্রসঙ্গে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন ফিরহাদ হাকিম। বেহালার রাস্তার ধ্বস প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরসভার মেয়র বিরাট হাতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ঠাকুরপুর বাজারের কাছে ধস নেমেছে। সেটা পাইলিং করতে হবে। এর পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ডেঙ্গুতে যিনি মারা গেছেন ,তার প্লেটলেট বারার পরও হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। অনেক মানুষের অসহযোগিতার জন্য ডেঙ্গু বাড়ছে। আমরা কত পর্যন্ত লড়াই করব। অভিযোগের সুরে মেয়র বলেন, অনেক জায়গায় এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারি অবসানে নোংরা করে রাখা হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করার পরেও দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষের এখন হুশ ফিরছে না। একটা অসহায় অবস্থায় পড়ে আছি। প্রত্যেক দিন কলকাতা পৌর সংস্থা কাজ করছে। ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের মধ্যে উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। ভাঙ্গা কলসি মধ্যে জল পাওয়া যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি। যেদিন সব মানুষ মনে করবে সেদিন ডেঙ্গু চলে যাবে, বলেন মেয়র। শহরে বেআইনি পার্কিং রোধে ফিরহাদ বলেন, বেআইনি পার্কিং রোধ করতে সিসিটিভি থাকবে। আর রেট চার্ট থাকবে। কাকে দেওয়া হয়েছে পার্কিং তাদের নম্বর থাকবে। যারা পার্কিং করছেন তাদের কার্ড দেওয়া হবে। যারা পার্কিং টাকা অতিরিক্ত নেবে তাদের লাইসেন্স ক্যান্সেল করা হবে। তার জন্য কলকাতা পৌর সংস্থার ওয়েবসাইট অভিযোগ জানানোর জন্য নম্বর দেওয়া হবে। ডেঙ্গু নিয়ে শনিবার মেয়র ফের বলেন,এখনও যাদবপুরের দিকে মেট্রো কাজে জল জমা আছে। আর কিছু ফাঁকা মাঠ আছে সেখানে নোংরা ফেলা হচ্ছে। আমরা দেখছি। যেখানে খবর পাচ্ছি সেখানে দেখা হচ্ছে।আমরা ম্যাজিক করতে পারিনা। আমরা ওয়াসট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম করছি। তার পরেও গ্রীন ট্রাইব্যুনাল থেকে ফাইন করা হচ্ছে। আমরা গ্রীন আদালতে আপিল করব। যাতে আমরা দূষণ মুক্ত রাখতে পারি। তার জন্য কাজ করব।
গার্ডেনরিচ থেকে টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমি কি বলব? কারোর বাড়িতে টাকা উদ্ধার হচ্ছে। সেটা আমি কি বলবো। তাহলে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিনি তো সারা ভারত বর্ষের প্রধানমন্ত্রী তাহলে তাকে বলা উচিত। শুধু বিরোধী দের রাজ্যতে এটা হচ্ছে কেন? যেখানে শাসকদলের রাজ্য সেখানে কি মানুষ বেআইনি ভাবে টাকা রাখে না। মলয় ঘটকের বাড়িতে হানা দেওয়া হল। এই রেড হচ্ছে যাতে এখানে ব্যাবসা না করতে পারে । সেই কারণে এই সমস্ত রেড হচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে। এটা নিয়ে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। যাতে এখানে ব্যবসা না করতে পারে আর এখান কার আর্থিক অবস্থা যাতে ভেঙে পড়ে। হাওড়ায় সালমন আক্রান্ত প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আনিস খানের ভাইয়ের ওপরে যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের ওপরে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। তার বাবা একটা রাজনীতিক দলের কোথায় চলছেন। আমাদের এখানে বাংলায় অন্যায় করে কেউ বাঁচতে পারবে না। পুলিশ তাদের কাজ করছে। কোনো ক্রাইম ডোজ নোট পে। পুলিশ ব্যাবস্থা নিচ্ছে। শুভেন্দুর মিথ্যা মামলা প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, মিথ্যে মামলা তো ওরা করছেন। নন্দীগ্রামে লোডশেডিং করে ভোট বাকসো পাল্টানো হয়নি?শুধু মানিকতলা হলেই সেটা মিথ্যে মামলা হয়ে যায়। বামপন্থী দের পায়ে তলায় মাটি নেই। কিন্তু নাচানাচি করছে। বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের সমর্থনে মিছিল হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাই এই মিছিলে প্রমাণ হবে যে তৃণমূল আছে আর থাকবে। বিজেপির নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, অভিযান করতে গেলে করলে করবে। প্রশাসন তার ব্যাবস্থা নেবেন। রাজ্য ভাগ নিয়ে ফিরহাদ সাংবাদিকদের এদিন বলেন, উত্তরবঙ্গে নিয়ে বিজেপি বাংলা ভাগ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা বাংলা ভাগ করতে দেব না ।বাংলায় একটা আতঙ্ক পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কোথায় রাজনৈতিক উদ্দেশে কেনো এজেন্সি কে ব্যাবহার করা হচ্ছে, কোনো ব্যবসায়ী বাড়িতে হানা প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, তাহলে কি অন্য রাজ্য না মোদীর গুজরাটে ব্যাবসায়ীদের বাড়িতে কি রেড হয় না। নরেন্দ্র মোদী বলতে পারবেন যে গুজরাটে কোনো অসৎ ব্যবসায়ী নেই। শনিবার বিভিন্ন ইস্যুতে এভাবেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের খোলাখুলি উত্তর দেন ফিরহাদ হাকিম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct