পৃথিবীতে একজন মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু বই। বইয়ের চেয়ে ভালো বন্ধু আর কিছুই হতে পারে না। বই শুধু আনন্দের মাধ্যম নয়, একটা বই থেকে নানা কিছু শিখতে পারে একজন পাঠক। যেটা কোনো বন্ধু শেখাতে পারে না। বন্ধুর সঙ্গে একজনের ঝগড়া হতে পারে কিন্তু বই আপনার সঙ্গে ঝগড়া করবে না। বরং আপনার নিজের মন ও মানসিকতার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করবে। আমরা এখন শিশুদের কী দিচ্ছি তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে। তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি অ্যান্ড্রয়েড ফোন। তার বিপদ নিয়ে লিখেছেন তারেক আল মুনতাসির।
শিশুর হাতে মোবাইল নয় বরং বই দিন। যখন কোনো শিশুর কোমল পায়ের পদচারণা দেখা যায় তখন মনের অজান্তেই ভালো লাগা কাজ করে। আজকের যে শিশু বইয়ের প্রতি যত আসক্ত সে শিশু তত বেশি এগিয়ে। তারা এক সময় দগ্ধ পাঠক হবে, হবে লেখক কিংবা ভালো মানুষও। হাল ধরবে স্বপ্নের সোনার পশ্চিমবাংলা। তাদের বইমেলায় আসার অভ্যাস হচ্ছে। যেসব অভিভাবক তাদের সন্তানদের বইমেলায় নিয়ে আসছেন তাদের স্যালুট জানাই। কারণ, তাদের বইয়ের প্রতি নবদিগন্ত সৃষ্টি হচ্ছে। প্রত্যেক বইমেলায় বিভিন্ন শিশুকে দেখা যায়। তারা এসে নানা ধরনের বই দেখছে। বই না পড়ুক কিন্তু বই দেখছে এটাই অনেক কিছু। অবশ্য বাংলাদেশে শিশুসাহিত্যের জগতটা বেশ এগিয়ে আছে। আরও এগিয়ে যাক, এমনটাই প্রত্যাশা করি। শিশুসাহিত্য পৃথিবীর সব দেশের সাহিত্যেই আছে। শুধু পশ্চিমবাংলায় আছে এমনটা নয়। একজন শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে বই। একটি বই একজন শিশুকে ভাসায় কল্পনার সাগরে। তাই বই পড়লে শিশুর কল্পনাশক্তি বেড়ে যায়। যেটা সিনেমা বা অন্য কোনো কিছু করলে এতটা বিকশিত হয় না।
আমরা সমাজের নানা রীতি মেনে চলি। যেমন বিয়ে বা কোনো অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পেলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে যাই। তখন শিশুরাও আমাদের সঙ্গে থাকে। পৃথিবীতে একজন মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু বই। বইয়ের চেয়ে ভালো বন্ধু আর কিছুই হতে পারে না। বই শুধু আনন্দের মাধ্যম নয়, একটা বই থেকে নানা কিছু শিখতে পারে একজন পাঠক। যেটা কোনো বন্ধু শেখাতে পারে না। বন্ধুর সঙ্গে একজনের ঝগড়া হতে পারে কিন্তু বই আপনার সঙ্গে ঝগড়া করবে না। বরং আপনার নিজের মন ও মানসিকতার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করবে। আমরা এখন শিশুদের কী দিচ্ছি তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে। তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি অ্যান্ড্রয়েড ফোন। সেখানে নানা ধরনের খেলা খেলে যে শিশু সময় কাটাচ্ছে, সে আসলে কতটুকু শিখছে। তার কল্পনার ও ভাবনার জায়গাটায় কী তৈরি হচ্ছে? নাকি একটা গেম নিয়ে পড়ে আছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যেটা তার মানসিক বিকাশের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। একটা বিষয় লক্ষ্য করবেন, একটি পরিবারের বাবা-মা বা অভিভাবক যা করেন, শিশুদের যা শেখান, তা তার মধ্যে দেখা যায়। বাবা-মায়ের কথা, চাল-চলনও সন্তানদের মধ্যে দেখা যায়। অর্থাৎ ওরা যা করে, তারা তা-ই করার চেষ্টা করে। তাই বাবা-মা যদি পাঠাভ্যাস গড়ে তোলেন তাহলে সন্তানও সেটাই অনুসরণ করবে। তারাও পড়তে বসবে। আমাদের মনে রাখতে হবে আজকের শিশুই আগামী দিনের পাঠক, লেখক বা ভালো মানের মানুষ হবে। তাই তাদের হাতে বই তুলে দিতে হবে। তাহলেই সে পাবে নিজের ভাবনার জগত। নিজের মতো করে জগত কে খুঁজে পাবে। নিজেকে গড়তে পারবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct