সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরেও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ‘ক্লোজ’ করা হল বারাসত মহিলা পুলিশ থানার এক এস আইকে। বর্ণালী দাস নামে ওই এসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের ঘটনায় অন্তর্বর্তী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার। বাগুইহাটি থানার পর ফের বারাসাত থানার মহিলা পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পরেও সময় মত উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠলো। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ২৬ অগাস্ট এক নৃত্যশিল্পী তাঁরই পরিচিত কয়েক জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে বারাসত মহিলা পুলিশ থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রায় দু’সপ্তাহ পরেও তাঁর অভিযোগের কোনও তদন্তই হয়নি বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। বৃহস্পতিবার সোজা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন তিনি। এর পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। গণধর্ষণের মতো অভিযোগে কেন সক্রিয় হলেন না ওই আধিকারিক, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।পুলিশ সুপারের নির্দেশের প্রেক্ষিতে তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে এক জন মহিলাও রয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পাশাপাশি, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠা ওই এসআইকে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। অন্য দিকে, অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনের দাবি, পূর্বপরিচিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় মিথ্যা অভিযোগ করে তাঁকে ও তাঁর সঙ্গীদের ফাঁসানো হয়েছে। এমনকি বাদ যায়নি তাঁর পরিবার। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পরেও কেন সময় মত ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি, তার জন্য সমস্ত রকম তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct