সম্প্রীতি মোল্লা, মঙ্গলকোট, আপনজন: মঙ্গলকোটের বুকে দাঁড়িয়ে অনুব্রত মন্ডল এর বিরুদ্ধে বিচার চাইলেন বোমায় একটি হাত উড়ে যাওয়া স্থানীয় ব্যক্তি! ভাবা যায়? তবে এটাই সত্যি। শুক্রবার বিধাননগর এমএলএ এমপি আদালতে মঙ্গলকোটের বোমা বিস্ফোরণ মামলায় নির্দোষ হয়েছেন একদা মঙ্গলকোটের তৃণমূল 'অভিভাবক' অনুব্রত মন্ডল। 'কোনও অন্যায় করিনি তাই বেকসুর খালাস করা হয়েছে'। শুক্রবার আদালত থেকে বেরিয়ে জানিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। শুধু অনব্রত মন্ডল নন, মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় অনুব্রত সহ ১৪ জনই বেকসুর খালাস হয়েছেন। কিন্তু, ওই ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছিলেন, তাঁরা কী জানিয়েছেন? শুক্রবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা হওয়ার পর ১র জন এ ভাবে অব্যাহতি পাওয়ায় অভিযোগকারী বলছেন, -‘বিচার পাইনি।’বাম জমানায় , ২০১০ সালের ওই মামলায় অভিযোগ উঠেছিল অনুব্রত মন্ডল সহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে। অনুব্রত-সহ সব অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দেওয়ায়, যিনি বোমায় আহত হয়েছিলেন, তিনি ক্ষোভে ফুঁসছেন এদিন সংবাদ মাধ্যম এর সামনে। আদালতের রায়ে খুশি নন আহতরাও। তাঁদেরকে কোনও নোটিস না দিয়ে কেন অভিযুক্তদের খালাস করে দেওয়া হল? সেটাই মেনে নিতে পারছেন না কেবুলাল শেখ, মতিহার রহমানেরা।কেবুলাল শেখ জানান, -' তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল, বোমাও নিক্ষেপ করা হয়েছিল। বোমায় তাঁর হাত উড়ে গিয়েছিল। ওই সময় অনুব্রত-সহ ওই ১৫ জন ঘটনাস্থলে ছিলেন। এত বড় ঘটনায় ওরা খালাস হয়ে গেল। আমি জানতে পারলাম না। আমার যে এতবড় ক্ষতি হয়েছে। আমি বিচার পেলাম কই?’এদিন বিধাননগর এমপিএমএলএ আদালতে ছিল এই মামলার রায়দান । সিপিএম আমলে মঙ্গলকোটে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। মল্লিকপুর গ্রামে বোমাবাজিও হয় ২০১০ সালে ৮ মার্চ। সে সময় কেবুলাল শেখ নামে এক সিপিএম কর্মীর হাত উড়ে যায়। তিনি দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় ওই ঘটনা ঘটে। এই মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে শেখ শাহনাওয়াজ,তাঁর ভাই কাজল শেখ, আজাদ মুন্সি( যিনি বর্তমানে মৃত) ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কেরিম খান-সহ ১৪ জনের নামে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। প্রথমে এই মামলা কাটোয়া আদালতে চলে। পরে এমপি এমএলএ আদালতে পাঠানো হয় সেই মামলা। এখন দেখার সু বিচার চাওয়া এই মামলাকারী ও আহতদের পাশে বাম আইনজীবীদের আইনী লড়াইয়ে দেখা পাওয়া যায় কিনা?
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct