মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: নদীয়ার শান্তিপুরে বনদপ্তরের সাথে আদিবাসীদের জমিজটে এলেন অনুরাধা তরোয়াল, প্রশাসনিক কথাবার্তা বলে জানালেন আদিবাসী উচ্ছেদ কখনোই নয়।বাবলা পঞ্চায়েতের অধীন বাহাদুরপুরে বন দপ্তর সম্প্রতি দখলকৃত চাষের জমিতে গাছ লাগাতে গেলে এলাকার আদিবাসী অধ্যুষিত মানুষদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বনদপ্তর কে।এরপর গত ২৯ শে আগস্ট বনদপ্তরের কর্মীরা বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে ১৩০ বিঘা ঘোষিত সরকারি জমির মধ্যে গাছ লাগাতে গেলে বনকর্মী ও পুলিশদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।বাচ্চা থেকে বুড়ো, পুরুষ থেকে মহিলা সবাই জমি আঁকড়ে ছিলেন। এলাকার মানুষের দাবি, সাত পুরুষ ধরে এজমির অধিকার আছে তাদেরই। পুলিশের আধিকারিকরা বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলে সাময়িকভাবে মেটান তবে। স্থানীয় ১১৩ টি আদিবাসী পরিবারের মধ্যে ৭৬ জন ক্লেম করেছেন, বাকিরাও করছেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজদুর রাজ্য কমিটির সদস্য অনুরাধা তরোয়াল আজ এসে পৌঁছান সমষ্টি উন্নয়ন অফিসে। তিনি দীর্ঘক্ষণ সবিস্তরে বিষয়টি শোনেন। জানান আদিবাসী উচ্ছেদ কখনোই সম্ভব নয়। আমরা সকলেই জানি জঙ্গল কেটে চাষের জমি তৈরি করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে উল্টো চাষের জমি কেটে জঙ্গল তৈরি করা হচ্ছে। গ্রামের মানুষদের অহেতুক বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওই জমিতে এখনো পর্যন্ত একজন ১৪৪ ধারা জারি করেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে করার পরামর্শ দিয়েছি। আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে জেলা কোর্টে এ বিষয়ে আলোচিত হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোন উচ্ছে দ এমনকি বনদপ্তরের জমিতে ঢুকে কোন কাজকর্ম করার অধিকার থাকবে না। এই মর্মে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টকে আজ বিডিও জানিয়ে দিয়েছেন। যেহেতু বিষয়টি আগেই গ্রাম সভায় পাস করানো ছিলো, ভাবেই বনদপ্তর এই জমির অধিকার দেখাতে পারবে না। কারণ গ্রাম সভা এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এরপরেও আইনের চূড়ান্তসিদ্ধান্তর প্রতীক্ষায় থাকবে কৃষকরা। তবে তাদের জমির ফসল বসতবাড়ি কোনটাই নষ্ট করা যাবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct