রঙ্গিলা খাতুন, খড়গ্রাম, আপনজন: স্কুল আছে, পড়ুয়াও রয়েছে কিন্তু একজনও শিক্ষক নেই। স্কুল হয়ে পড়েছে অভিভাবকহীন! একমাত্র গ্ৰুপ ডি কর্মীর ভরসায় চলছে স্কুল তাও মাত্র একজন। ছাত্রীরা আসে, নিজের মতোই পড়াশুনা করে আবার বই গুটিয়ে বাড়ি ফিরে চলে যায়। বন্ধের মুখে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম থানার অন্তর্গত ঝিল্লি গ্রামপঞ্চায়েতের খাসপুর জুনিয়ার গার্লস হাইস্কুল। এমতাবস্থায় স্কুলের শিক্ষক এবং পরিকাঠামো উন্নত করতে খাসপুর জুনিয়র গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রীরা খড়গ্রাম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এবং খড়গ্রাম উত্তর চক্র অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে স্মারকলিপি প্রদান করলেন বিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং অভিভাবকেরা।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রূপা খাতুন বলে, আজকে দেখা করে বললাম স্কুলে একজনও শিক্ষক নেই, পড়াশোনা হচ্ছে না। টিসি না দিলে অন্য স্কুলে ভর্তি নিচ্ছে না। তাই বললাম আমাদের স্কুলে শিক্ষক দিন নয়তো টিসি দিন। খড়গ্রাম উত্তর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের আলোচনা করব এবং শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে দ্রুত সমস্যা সমাধান করব। গ্রুপডিকর্মী এখন ছাত্রীদের সামলাচ্ছেন। কিন্তু এমন করে কতদিন? মিড ডে মিল থেকে শুরু করে অফিসের কাজ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন। পড়াশোনা কীভাবে সম্ভব উঠেছে প্রশ্ন? স্কুলে কমতে শুরু করেছে পড়ুয়ার সংখ্যাও। অনেক ছাত্রীই চলে গেছে অন্যত্র। কমতে কমতে এখন ওই স্কুলে এসে ঠেকেছে মাত্র ৭০ জন। কিন্তু তাদের কী হবে? কীভাবে চলবে পড়াশুনা? যারা আছে তাদের কথায়, অন্য স্কুলে যাওয়ার অবস্থা সবার নেই, আবার অনেক স্কুল এখনও ভর্তিও নিচ্ছে না। অভিভাবকদের বাড়ছে দুশ্চিন্তা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে আশেপাশের ১৭টি গ্রামের মেয়েদের ভরসা ছিল এই স্কুলটি। কিন্তু এখন? শিক্ষিকার অভাবে প্রায় বন্ধ হতে চলেছে স্কুলের দরজা। কোথায় যাবে তাঁদের মেয়েরা? জানেন না বাবা-মায়েরাও।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct