সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, কলকাতা, আপনজন: মঙ্গলবার বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের নবান্ন অভিযান ঘিরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কলকাতার রাজপথ। এদিন মৌলালির রামলীলা ময়দানে জমায়েত শুরু হয় দুপুর ১ টায়। ধর্মতলায় গিয়ে বিশাল পদযাত্রা থামে বিকাল ৩ টায়। সারা বাংলা গ্রামীণ সম্পদ কর্মী সংগঠন এদিনের বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। রাণি রাসমণি রোডে আগে থেকেই ব্যারিকেড করে রাখে কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী। এদিন ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেননি গ্রামীণ সম্পদ কর্মী বা ভিআরপিরা। এখানেই তাদের দাবি দাওয়া জানিয়ে শ্লোগান দিয়ে থাকেন হাজার হাজার কর্মী। তাদের হাতে ছিল নানা দাবি দাওয়া সম্বলিত প্লাকার্ড। পুরুষ কর্মীদের পাশাপাশি ব্যাপক সংখ্যক মহিলা কর্মীরাও দীর্ঘ পদ মিছিলে হাঁটেন। এদিন সারা বাংলা গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের রাজ্য সংগঠনের সঙ্গে কলকাতা পুলিশ মধ্যস্থতা করে। পুলিশের মধ্যস্থতায় তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল নবান্নে যান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইলিয়াস আলম, সুজা উদ্দিন ও অমিত সরকার। একদিকে প্রতিনিধি দল নবান্নের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন, অন্যদিকে গ্রামীণ সম্পদ কর্মী রাজপথে শ্লোগান দিতে থাকেন।
ভিলেজ রিসোর্স পার্সন ভিআরপি বা গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের এদিনের দাবি গুলির মধ্যে প্রধান দাবি নূন্যতম মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকা করতে হবে। অন্যান্য দাবি গুলি হল ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কর্মের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে, পে রোলের আওতায় এনে সব রকম সরকারী সুযোগ সুবিধা দিয়ে হবে, সরকারী সমস্ত প্রকল্পে সোস্যাল অডিট করাতে হবে প্রভৃতি। এই সমস্ত দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে হাঁটেন গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা। এদিন অনেক কর্মীর হাতে তালা বাটি দেখতে পাওয়া যায়। সারা বাংলা গ্রামীণ সম্পদ কর্মী সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ইলিয়াস আলম এদিন আপনজনকে জানান, দাবি আদায় না হলে ধারাবাহিক ভাবে অধিকার আদায়ের আন্দোলন চলবে। গ্রামীণ সম্পদ কর্মী সংগঠন এদিন জানায়, পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলায় প্রায় ২৫ হাজার গ্রামীণ সম্পদ কর্মী সরকারের বিভিন্ন জনহৃতকর কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। মাসে ৩০ দিনই কাজ করেন তারা। পারিশ্রমিক পান মাত্র ১৭৫ টাকা প্রতিদিন হিসাবে। অর্থাৎ তারা মাসে মাত্র ৫২৫০ টাকা করে সাম্মানিক পান। তিন চার মাস পর পর সেই টাকা পান কর্মীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct