সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: পঞ্চায়েত অফিসে পরিষেবা না পেয়ে অনির্দিষ্টকালীন অনশনে বসলেন বৃদ্ধ । মঙ্গলবার অনশনের ঘটনাটি ঘটেছে নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের ভদ্রপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস প্রাঙ্গনে। ৬৭ বছর বয়সী ঐ বৃদ্ধের নাম সৈলজ দাস। বাড়ি নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের নগোরা গ্রামে।অনশনকারী ওই বৃদ্ধার অভিযোগ, পৈত্রিক জায়গার উপর তিনি ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। সেই জায়গার উপর ২০২০ সালে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে অভিযোগকারী শৈলজ দাস দেওয়ানী কার্য বিধিতে বিবাদী হিসেবে জীবন কৃষ্ণ দাস, হেমন্ত কুমার দাস, সুমন্ত দাস এদের নামে মামলা ঢুকেছেন। মামলা চলাকালী জায়গার উপর বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন শৈলজ দাসের অভিযুক্ত ভাইপো জীবন কৃষ্ণ দাস। অভিযোগকারী শৈলজ দাসের প্রশ্ন! জায়গার উপর মামলা চলাকালীন কিভাবে সরকারি আবাস যোজনার বাড়ির নির্মাণ হতে পারে? এছাড়াও তিনি ওয়ারিশন সার্টিফিকেটের জন্য পঞ্চায়েতে গেলে বারবার ঘোরাচ্ছেন পঞ্চায়েত প্রধান। সেই অভিযোগ নিয়ে অভিযোগকারী পঞ্চায়েত প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোন সুরাহা পাননি ঐ বৃদ্ধ।এ প্রসঙ্গে নগোরা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য জাহানারা বেগম বলেন,শৈলজ দাস তার অন্যান্য ওয়ারিশদের বাদ দিয়ে নিজের ইচ্ছামত ওয়ারিশন সার্টিফিকেট চাইছেন যেটা সম্ভব নই।অপরদিকে জায়গার উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাড়ি নির্মাণের জন্য পঞ্চায়েত কিভাবে শংসাপত্র দিতে পারে ? প্রশ্নের জবাবে ভদ্রপুর দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কাঞ্চনা মাল বলেন,আমি প্রধান হিসেবে এই পঞ্চায়েতের দায়িত্বে আসার আগের প্রধান কিভাবে দিয়েছেন সেটা আমার জানা নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct