আপনজন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সাতটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে মঙ্গলবার। দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে প্র দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যা, জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান এবং মানবপাচার প্রতিরোধে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার এজেন্ডার শীর্ষে ছিল। উভয় নেতা সন্ত্রাস দমনের মতো বিষয়গুলোতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরসহ উভয় দেশের অমীমাংসিত সব ইস্যু শিগগিরই সমাধান হবে। হাসিনা বিবৃতিতে বলেছেন, আমি পুনরায় বলছি যে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ভারত। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। শেখ হাসিনা উল্লেখ করেছেন, গত এক দশকে উভয় দেশ বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, দুই দেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় অনেক অমীমাংসিত ইস্যু সমাধান করেছে। আমরা আশা করছি আসন্ন দিনগুলোতে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরসহ সব অমীমাংসিত ইস্যুর সমাধান হবে। কুশিয়ারা নদী নিয়ে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিক সমঝোতা স্মারকের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনের সমাধান হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct