আপনজন ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার প্রথম হিজাব পরা এমপি হওয়ার পথে ফাতিমা পেমানের যাত্রা শুরু হয় যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠী তার মাথার স্কার্ফ নিয়ে উপহাস করে। শৈশবে আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আসার পর থেকে টিউটোরিয়াল ক্লাসে বসার আগপর্যন্ত ফার্মাসির তরুণ ছাত্রীটি সবসময়ই গৃহীত বোধ করেছিল। কয়েক বছর পর হিজাব পরা সিনেটর পেম্যান মঙ্গলবার রাতে সংসদে তার আবেগপূর্ণ প্রথম বক্তৃতায় তার মরহুম বাবাকে ধন্যবাদ জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ২৭ বছর বয়সী সিনেটর পেম্যান বলেন, তার বাবা ‘চাকরির নিরাপত্তাহীনতা এবং কম মজুরির কারণে বৈষম্য ও অপব্যবহারের’ সম্মুখীন হয়েছেন, কিন্তু তার ত্যাগ তাকে সুখী শৈশব যাপন করতে দিয়েছে।
তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় টিউটোরিয়ালে এক যুবক যখন আমার হিজাবকে উপহাস করে তখন ‘অন্য’ বলে মনে করার আমার প্রথম অভিজ্ঞতায় আমি হোঁচট খেয়েছিলাম। ‘দেখুন, বড় হয়ে আমি কখনই আলাদা অনুভব করিনি। পার্থে যেতে যেতে বাড়ির মত মনে হয়েছে - কারণ বাড়ি যেখানে থাকে হৃদয় এবং আমার হৃদয় ছিল আমার পরিবারের সঙ্গে। ‘আমি আলাদা বা অদ্ভুত বোধ করিনি, পার্থের উত্তর শহরতলিতে বড় হয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ধরেছি এবং সমাজের একজন উৎপাদনশীল সদস্য হওয়ার আশা করেছি।কিন্তু ‘আপনি যেখান থেকে এসেছেন সেখানে ফিরে যান’-এর মতো মন্তব্য বা চরমপন্থার অনুমান আমাকে এমন মনে করতে বাধ্য করেছে যে, আমি এর অন্তর্গত নই’। সিনেটর পেম্যান বলেন, তার রাজনীতি, যুব নেতৃত্ব গোষ্ঠী, পুলিশ উপদেষ্টা গ্রুপ এবং মুসলিম ছাত্র সমিতিতে যোগদানের অনুঘটক ছিল এটি। তিনি বলেন, ‘আমি একটি পরিবর্তনের অংশ হওয়ার আশায় স্বেচ্ছাসেবা শুরু করেছি, যদি আমাকে সমাজে ভাল তা ছড়িয়ে দিতে দেখা যায়, তাহলে হয়তো আমাকে এ জাতির সমান সদস্য হিসাবে গ্রহণ করবে’।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct