নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: গত সোমবার ২৩ জন টেট প্রার্থী কে ২৩ দিনের মধ্যেই চাকরিতে নিয়োগ করার নির্দেশ জারি করেছেন।মঙ্গলবার এই তালিকায় যুক্ত হলো আরও ৫৪ জন টেট প্রার্থী। তবে সময়সীমা দুটি নির্দেশেরই একই।সর্বমোট ৭৭ জন টেট প্রার্থীকে চাকরি দিতে হবে পুজোর আগেই।গত সোমবার ২৩ জন চাকরি প্রার্থীকে ২৩ দিনের মধ্যে শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছ্রন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।পুজো শুরু ১ অক্টোবর থেকে তার আগেই আরও টেট উত্তীর্ণ ৫৪ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় । পর্ষদের প্রশ্নের ভুলের জন্য এই নির্দেশ। গত সোমবার ২৩ জন টেট প্রার্থী কে ২৩ দিনের মধ্যেই চাকরিতে নিয়োগ করার নির্দেশ জারি করেছেন।মঙ্গলবার এই তালিকায় যুক্ত হলো আরও ৫৪ জন টেট প্রার্থী। তবে সময়সীমা দুটি নির্দেশেরই একই।সর্বমোট ৭৭ জন টেট প্রার্থীকে চাকরি দিতে হবে পুজোর আগেই। গত সোমবার২৩ জন চাকরি প্রার্থীকে ২৩ দিনের মধ্যে শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছ্রন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।পুজো শুরু ১ অক্টোবর থেকে তার আগেই আরও টেট উত্তীর্ণ ৫৪ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় । গত ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে।এর আগে এই প্রশ্ন ভূল মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভুল প্রশ্ন থাকায় বাড়তি ৬ নম্বর দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেইমতো নম্বর পাওয়ার পরেও চাকরি মেলেনি বলে অভিযোগ টেট প্রার্থীদের একাংশের। মঙ্গলবার দুপুরে সেই মামলার শুনানিতে এবার আরও ৫৪ জনকে চাকরি দেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। গতসোমবার ২৩ জনকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সেই একই নির্দেশ কার্যকর করলেন ৫৪ জনের জন্যও।মঙ্গলবার শুনানি শেষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, -’ আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাকরি দিতে হবে প্রার্থীদের’।এদিনও সিঙ্গেল বেঞ্চে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, -’এই মুহূর্তে শূন্যপদ নেই। রাজ্য সরকারের সঙ্গে শূন্যপদের বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। শূন্যপদ হলেই চাকরির ব্যবস্থা করা হবে’। এরপরই বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় মামলায় নির্দেশ দানে বলেন , -’ যদি শূন্যপদ না থেকে তবে তা তৈরি করে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে’।উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে যে ভুল ছিল, তা প্রকাশ্যে আসে ২০১৮ সালে। তার পরই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার ভিত্তিতে শুনানিতে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, -’ ভুল প্রশ্নের জন্য ৬ নম্বর দিতে হবে’। সেই ৬ নম্বর বাড়ার পরেও অনেকের চাকরি হয়নি অভিযোগ উঠেছিল।প্রাপ্য নিয়োগের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন এক চাকরিপ্রার্থী। সেখানেই ৫৪ জনের নাম ছিল। যাঁরা ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় তাঁরা অনুত্তীর্ণ ছিলেন। হাইকোর্ট আগেই ভুল থাকা প্রশ্নে নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।এবার আরও ৫৪ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের নিয়োগ দিতে হবে’ বলে নির্দেশ জারি হয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চে।
পাশাপাশি শূন্যপদ না থাকলে, ভবিষ্যতের জন্য থাকা শূন্যপদ থেকে নিয়োগ দিতে হবে তাঁদের কে আদালতের আদেশনামায় উল্লেখ রয়েছে ।গত ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৫৪ জন চাকরি প্রার্থী। সেখানে প্রশ্নপত্রে বেশ কেয়কটি ভুল ছিল। ভুল প্রশ্নগুলিতে যেসব পরীক্ষার্থী উত্তর দিয়েছেন, তাঁদের পুরো নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই অনুযায়ী ওই পরীক্ষার্থীরাও নম্বর পান। কিন্তু নম্বর বাড়ার পরেও তাঁদের কেন নিয়োগ করা হল না, এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই মামালতেই এদিন এই রায় দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।।গত ২০১৪ সালের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন সোহম রায়চৌধুরী-সহ ২৩ জন পরীক্ষার্থী। ২০১৬ সালে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায় তাঁরা সকলেই অসফল হয়েছেন। এরফলে চাকরিও হয়নি। পরবর্তীতে সোহম হাইকোর্টে জানান, -’ প্রশ্নপত্রে ছ’টি প্রশ্ন ভুল থাকার জন্যই তাঁরা উত্তীর্ণ হতে পারেননি’। এমনকি, প্রশিক্ষিত নন এমন অনেককেই সেই সময় চাকরি পেয়েছেন। ঘটনাচক্রে, প্রশ্ন ভুলের অন্য একটি মামলায় বেশ কয়েক জন মামলাকারীকে বাড়তি নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। সেই নির্দেশকে হাতিয়ার করেই বাড়তি নম্বরের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হন টেট প্রার্থীদের কয়েকজন। গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য, -’ প্রশ্নে ভুল হয়েছে ঠিকই। তবে, এই মুহূর্তে পর্ষদের হাতে শূন্যপদের তালিকা নেই। সেই কারণেই ওই ২৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। রাজ্য শূন্যপদ ঘোষণা করলেই নিয়োগ করা হবে’। তবে পর্ষদের সেই যুক্তিকে মান্যতা দেয়নি আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, -’ গত ছয় বছর ধরে এই ২৩ জন চাকরিপ্রার্থী বঞ্চিত হয়েছেন। ফলে আর সময় দেওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনে ভবিষ্যতের জন্য থাকা শূন্যপদ থেকে নিয়োগ দিতে হবে তাঁদের। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ২৩ জনকে চাকরিতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এবার একই সময়সীমার মধ্যে আরও ৫৪ জনকে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct