মনিরুজ্জামান, দেগঙ্গা, আপনজন: কাজের জন্য মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরিতে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ব্লকের নূরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফাজিলপুর গ্রামের বছর একুশের ইমরান হোসেন।কাজ করতেন এক আইস ফ্যাক্টরীতে।শনিবার সন্ধ্যার ইলেকট্রিক শট সার্কিটের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়।মর্মান্তিক এই ঘটনা শুনেই অসহায় এই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ওইদিন গভীর রাতে ফাজিলপুর গ্রামে উপস্থিত হন স্হানীয় জেলা পরিষদের সদস্য লড়াকু নেতা বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ। তিনি বলেন, মৃতদেহ বাড়িতে আনার ব্যবস্হা করার সঙ্গে সঙ্গে যাতে সরকারি সহযোগিতা পাওয়া যায় তারজন্য প্রশাসনিক স্তরে যোগাযোগ করা হচ্ছে।তিনি মৃত ওই যুবকের পিতা আবু বাসার এবং তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময়ই তাঁর দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের বলে থাকেন বিপদের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই কথাকে শিরোধার্য করেই ওই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে শনিবার মধ্যরাতের মতো রবিবারও একেএম ফারহাদ এলাকায় আসেন।রবিবার সকাল থেকে তিনি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে স্হানীয় দেগঙ্গা থানায় উপস্থিত হন। তিনি বলেন,সব কিছু ঠিক থাকলে আশা করি আজ রাতেই মৃত ওই যুবকের মরদেহ তাঁর গ্রাম ফাজিলপুরে ফিরবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct