সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: লালমাটির বাঁকুড়া যেমন তার প্রাকৃতিক বৈচিত্র এবং মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরকে নিয়ে গর্বিত তেমনই তার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা হস্ত এবং কুটির শিল্পের জন্যও প্রসিদ্ধ। একটাই মঞ্চে জেলার বিভিন্ন হস্ত এবং কুটির শিল্পের কদর যাতে বিশ্বের বাজারে ছড়িয়ে পড়ে তার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকার গৃহীত ‘মঞ্জুষার’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল আরম্ভ করে। কি এই ‘মঞ্জুষা’? কি তার কাজ? এর উত্তর হলো মঞ্জুষা হল একটি সমবেত প্রদর্শনী যেখানে একই ছাদের তলায় শিল্পীর বানানো বিভিন্ন শিল্প মানুষের পছন্দ হলে তা ক্রয় করতে পারবেন।এক কথায় বলতে গেলে শিল্প দিয়েতো আর শিল্পীর পেট ভরানো যায় না, তার জন্য চাই অর্থ তাই তাদের বানানো শিল্পের জাতীয় অর্থনৈতিক কদর বাড়ে তার জন্যই এই প্রয়াস পশ্চিমবঙ্গ সরকারের।
একটা সময় ছিল শিল্পীরা তাদের শিল্প মন প্রাণ দিয়ে তৈরি করলেও তার কোন কদর মিলত না যার জেরে তাদের হয়তো শিল্পসৃষ্টির মনোবল ক্ষণিকের জন্য হলেও মুখ থুবড়ে পড়েছিল তার ওপর দোসর ছিল কোভিড মহামারি। তাই যাতে এর কোন পুনরাবৃত্তি না হয় তাই এই প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন শিল্প বিষ্ণুপুরের বালুচরী শিল্প,টেরাকোটা শিল্প,পট শিল্প এছাড়ার মুর্শিদাবাদি সিল্ক, নদীয়া তাঁত সবকিছু এক ছাদের তলায় শিল্পীদের মানদণ্ড বিচার করে অর্থনৈতিকভাবে তাদেরকে চাঙ্গা করতে বিক্রি হবে।সারা পশ্চিমবাংলায় এই নিয়ে মোট ১৯টি মঞ্জুষার উদ্বোধন হলো। শনিবার বাঁকুড়া শহরে এই মঞ্জুষার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের হাজির ছিলেন টলি অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার একাধিক প্রশাসনিক প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। মঞ্জুষার চেয়ারপারসেন সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় আমাদের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে জানান, কলকাতা থেকে মঞ্জুষাকে বাঁকুড়ায় আনতে পেরে আমি খুবই খুশি, কোভিড কালে শিল্পীদের যে শোচনীয় অবস্থা হয়েছিল, তার থেকে শিল্পীদের মনোবল বাড়ারতেই আমাদের এই পদক্ষেপ। আড়ম্বর করে এই মঞ্জুষা এম্পোরিয়ামের উদ্বোধন হয়ে গেল বাঁকুড়া পৌরশহরে। এখন শুধু এটাই দেখার বিষয় আমজনতার মধ্যে এর কতটা সাড়া মেলে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct