আপনজন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আইন-এর কয়েকটি অনুচ্ছেদ সংবিধানের ৩০ ধারা উল্লংঘন দাবি করে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আর্জি জানিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের মাজনা হাই মাদ্রাসা। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে মাজনা হাই মাদ্রাসা পক্ষে আইনজীবী অতরূপ ব্যানার্জি, সুনন্দ রাহা, অনিন্দ্য মুখার্জি, আবু সোহেল ও রামেশ্বর প্রসাদ গোয়েল রিট পিটিশনে দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আইন, ২০০৮-এর ৮, ১০, ১১, ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ ভারতীয় সংবিধানের ৩০ ধারার বিরোধী। তাই শেখ মহম্মদ রফিক বনাম কাঁথি রহমানিয়া হাই মাদ্রাসা মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মাজনা হাই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি এই রিট পিটিশনে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন আইন বাতিল করার দাবি জানান।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করে দেখেন তাদের দাবি সম্পূর্ণ ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে। তারা মত প্রকাশ করেন, মাদ্রাসায় নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও মেধা একমাত্র মানদণ্ড না হয়তাহলে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলি অ-সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে চলার পরিবর্তে তাদের থেকে পিছিয়ে থাকতে পারে। যদি সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অধীনে মনোনীত প্রার্থীর চেয়ে ভাল প্রার্থী পাওয়া যায়, তবে ওই মনোনীত প্রার্থীকে বাতিল করার অধিকার প্রতিষ্ঠানটির অবশ্যই থাকবে। যোগ্য প্রার্থীকে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান বাদ দিলে তা কখনোই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct