আপনজন ডেস্ক: মায়ানমারের একটি বন্দিশিবিরে তীব্র রোদের ভেতর খাবার ও জলের অভাবে ৭ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে পিয়াপন শহরের কাছে একটি নৌযান আটক করে কর্তৃপক্ষ। চার পাচারকারী ও পাচার হওয়া ৬৫ বাঙালিকে সাময়িকভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিন পুরুষ ও চার মহিলা তীব্র রোদ, খাবার ও জলের অভাবে মারা গেছে। আরও ছয়জন চিকিৎসাধীন। বন্দিদের মধ্যে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছিল, যেন তাদের তদন্ত এবং আইনের আওয়ায় বিচার করা যায়। ২০১৭ সালে মায়ানমার সামরিক বাহিনীর বর্বর নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে যায় সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম। এর আগেও এসেছিল কয়েক লাখ। সবমিলিয়ে সাড়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। ভারতেও আশ্রয় নিয়েছে বহু রোহিঙ্গা।মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার মতো অনেক মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। প্রতি বছর প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নানা দেশে পাড়ি জমায় রোহিঙ্গাসহ মায়ানমারের বহু মানুষ। তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ছোট ছোট ট্রলার ব্যবহার করে পাচারকারীরা। এ ধরনের অভিবাসনপ্রত্যাশী বা শরণার্থীদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য মালয়েশিয়া। দেশটিতে এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct