সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ‘দুর্নীতি’ সরিয়ে শিক্ষাঙ্গনে স্বচ্ছতা আনতে মরিয়া রাজ্য সরকার। চাকরির দাবিতে আন্দোলনে বসেছেন শ’য়ে শ’য়ে চাকরিপ্রার্থী। এমন আবহে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি পদে গৌতম পালের কাঁধে দায়িত্বভার তুলে দিয়েছে সরকার। তৈরি করা হয়েছে বিশেষ অ্যাড হক কমিটি। সেই কমিটিরই এ বার প্রশংসা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার টেট মামলার শুনানিতে প্রাথমিকের শিক্ষা পর্ষদের নতুন কমিটির প্রশংসা করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, অভীক মজুমদারের মতো ব্যক্তিরা আছেন। বর্তমান চেয়ারম্যানও ভাল। কোনও পুরসভার চেয়ারম্যানের মতো নয়। আশা রাখছি, আস্তে আস্তে পরিবর্তন হবে। একটা সময় আমিও পর্ষদের হয়ে কাজ করেছি। সবটা চিনি। এখনকার অবস্থা দেখলে খুবই খারাপ লাগে। এখন সেখানেই আমাকে সিআরপিএফ ঢোকাতে হল। আমি মনে করি তখন স্বচ্ছতা ছিল, দুর্নীতি ছিল না।’’ সম্মিলিত মেধাতালিকা প্রকাশ করা পর্ষদের মাস্টারস্ট্রোক ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।সম্প্রতি, ১১ সদস্যের অ্যাড হক কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ওই কমিটিতে রয়েছেন লেখক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, ভাষা শিক্ষিকা স্বাতী গুহ, উচ্চ শিক্ষা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিকি দাশগুপ্ত, সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার এবং অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তীর মতো বিশিষ্টজনেরা। কমিটির সদস্যদের ভুয়োসি প্রশংসা করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct