আপনজন ডেস্ক: অসমের এআইইউডিএফ প্রধান ও লোকসভার সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল বুধবার অভিযোগ করেছেন, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিজেপি ও আরএসএস মুসলিম, মাদ্রাসা ও মসজিদকে টার্গেট করছে। বদরুদ্দিন আজম বলেন, '২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে মুসলিম, মাদ্রাসা, মসজিদে হামলা বাড়ছে। তারা মনে করে, মুসলমানদের প্রতি তাদের টার্গেট বেড়ে গেলে তাদের ভোট আরও বাড়বে। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে মুসলিমদের ভয় দেখানোই তাদের কাজ। ২০২৪ সালে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বিজেপির মুসলিম ভোটের প্রয়োজন রয়েছে। সুতরাং, মুসলমানদের উপর তাদের আক্রমণ বাড়ছে, যাতে, ভীত-সন্ত্রস্ত মুসলমানরা তাদের পক্ষে ভোট দেয়। আজমল আরও বলেন, আগামী দিনে এ ধরনের হামলা আরও বাড়তে পারে। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বদরুদ্দিন আজমল বলেন, বিজেপি-আরএসএস এখন আগামী দিনে নির্বাচনে হারার ভয় পাচ্ছে। রাজ্যের মাদ্রাসাগুলির বিরুদ্ধে অসম সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে বদরুদ্দিন আজমল বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, মাদ্রাসা ভাঙা আমরা সমর্থন করব না। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসায় সাধারণ শিক্ষাও পড়ানো হয়। প্রয়োজন হলে আমরা এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাব। যদি কোনো খারাপ উপাদান থাকে, তাহলে সরকারের উচিত একটি খারাপ উপাদানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা, আমরা এর বিরোধিতা করব না। কিন্তু মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরও বলেন, সরকারের দায়িত্ব হল, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির সঙ্গে জিহাদ, সন্ত্রাসের যোগসূত্র প্রমাণ করা। এটা আমাদের দায়িত্ব নয়। সরকার যদি কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পেয়ে থাকে তবে সরকার সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু মাদ্রাসা ভেঙে ফেলা গ্রহণযোগ্য নয়। দেশকে স্বাধীন করতে মাদ্রাসার বড় অবদান রয়েছে। এসব মাদ্রাসার উলামারা ব্রিটিশদের এখান থেকে বিতাড়িত করেছিল। মাদ্রাসার লোকেরা গান্ধীজিকে গান্ধীজিকে গান্ধী বানিয়েছিল। এই মাদ্রাসাগুলিকে অবহেলা না করার আহ্বান জানান তিনি। অাজমল বোঙ্গাইগাঁও জেলার জোগিঘোপা থানার অন্তর্গত কাবাইটারি পার্ট-৪ গ্রামের মারকাজুল মা-আরিফ কোয়ারিয়ানা মাদ্রাসার সাথে তার এনজিও এনজিও মারকাজুল মা’আরিফের কোনও সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন, যে মাদ্রাসাকে বঙ্গাইগাঁও জেলা প্রশাসন দ্বারা ভেঙে ফেলা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct