জিয়াউল হক, চুঁচুড়া: পোলবার সুগন্ধ্যায় থাকা কারখানার জমি বিবাদে নয়া মোড়। এবারে কারখানার গেটে থাকা “হালদার নেটিং’স প্রাইভেট লিমিটেড” নামটিই মুছে দেওয়া হল। গতকাল কারখানার গেটে যে নাম জ্বলজ্বল করছিল আজ সেই নাম উধাও। নীল রঙা গেটটি কালো রং-এ ঢেকে গেছে। কারখানার ভিতরের অংশে ডানপাশে থাকা একটি চিমনিও রাতারাতি মাটিতে মিশেছে।প্রসঙ্গতঃ এই কারখানার জমি সংক্রান্ত বিবাদ আদালতে বিচারাধীন। কারখানার বর্তমান মালিক বলে দাবী করা কলকাতার রাসবিহারীর বাসিন্দা তাপস হালদার নিজেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এখানে মশারির নেট তৈরী হতো। কারখানার ভিতরে গেলে তার প্রমানও মিলবে। অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে কোভিড আবহ মিটতেই পুনরায় কারখানা খুলতে উদ্যোগী হন তাপসবাবু। কিন্তু অভিযোগ দিন কয়েক আগে বলপূবর্ক সেই কারখানার দখল নেয় কয়েকজন। তাপসবাবুর অভিযোগের তীর ছিল এলাকার এক তৃণমূল নেতার দিকে। তাপসবাবুর দাবী তিনি রাজ্যের শিল্পোন্নয়ন নিগমের কাছ থেকে ওই জমি লিজে নিয়েছেন।
ঘটনায় তৃণমূলের নাম জড়ানোয় আজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বিএলআরও দপ্তরের প্রতিনিধিরা। বিধায়কের ডাকে সাড়া দিয়ে এখানে উপস্থিত হন তাপস হালদার। দু’পক্ষের সাথে কথা বলেন বিধায়ক। তাপসবাবুর বিরোধী পক্ষের দাবী এই জমির লিজের মেয়াদ সমাপ্ত হয়েছে। তাই এই জমির মালিকানা বর্তমানে তাপসবাবুর হাতে নেই। অন্যদিকে বিএলআরও দপ্তরের প্রতিনিধি জমিট্র পুরনো রেকর্ড কাদের নামে রয়েছেন তার কথা উল্লেখ করে বলেন জমির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। এদিকে এই জমির মালিকানা এখনও হালদার নেটিং’স এর কাছেই রয়েছে বলে দাবী করেন তাপস হালদার। সবশেষে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন জমিটির বিষয় আদালতে বিচারাধীন তাই এবিষয়ে আমি বা কারোর মন্তব্য করা ঠিক নয়। তবে কারখানা দখল নিয়ে তৃণমূলের নাম উঠেছিল তাই আমি এখানে এসেছি। এর সাথে তৃণমূলের কোন যোগ নেই। সে যাই হোক, তবে একটা বিষয় স্পষ্ট এই জমি সংক্রান্ত বিবাদের মামলা যদি আদালতেই বিচারাধীন থাকে তাহলে রাতারাতি কারাই বা ভিতরে ঢুকে চিমনি ভেঙে দিল? সে প্রশ্নগুলো কিন্তু থেকেই যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct