আপনজন ডেস্ক: মক্কা অঞ্চলের ঐতিহাসিক পাঁচ মসজিদ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ঐতিহাসিক মসজিদগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে এ পাঁচ মসজিদ অন্তর্ভূক্ত করা হয়। মসজিদগুলোর সুরক্ষা, সংস্কার, স্থায়িত্ব ও জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে স্থাপত্য সৌন্দর্য বজায় রাখতে এ উদ্যাগ নেওয়া হয়। বার্তা সংস্থা এসপিএ সূত্রে আরব নিউজ এ তথ্য জানায়।এর মধ্যে প্রথমে সংস্কার করা হবে মিনা প্রান্তের জামারাত আল আকাবায় অবস্থিত আব্বাসি খলিফ আবু জাফর আল মানসুর নির্মিত আল বায়াহ মসজিদটি। সংস্কারের পর মসজিদটির আয়তন আগের মতো ৪৫৭ দশমিক ৫৬ বর্গমিটার থাকবে এবং তাতে ৬৮ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন।তাছাড়া জেদ্দা প্রদেশের হারাত আল শামের আবু ইনবেহ মসজিদ এবং আল বালাদ এলাকায় অবস্থিত আল খাদার মসজিদটি পাঁচ মসজিদ প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত। ৯ শ বছরের বেশি সময় আগে ৩৩৯ দশমিক ৯৮ বর্গ মিটারের আবু ইনবেহ মসজিদটি নির্মিত হয়। সংস্কারের পর এর আয়োতন হবে ৩৩৫ দশমিক ৩১ বর্গ মিটার এবং তাতে ৩৫৭ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন।
পবিত্র মসজিদুল হারাম থেকে ৬৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিতি আল খাদার মসজিদটি প্রায় সাত শ বছর আগে নির্মিত। সংস্কারের পর এর আয়তন হবে ৩৫৫ দশমিক শূন্য ৯ এবং তা ৩৫৫ মুসল্লির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হবে। আল-জামুম গভর্নরেটের আল-ফাতাহ মসজিদে মক্কা বিজয়ের বছর মহানবী মুহাম্মদ (সা.) নামাজ পড়েছিলেন। মসজিদটিও সংস্কার প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত। সংস্কারে পর এর আয়োতন হবে ৫৫৩ দশমিক ৫০ বর্গ মিটার এবং তাতে ৩৩৩ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। এছাড়াও এ প্রকল্পে রয়েছে তিন শ বছরের পুরনো আল জুবায়লি মসজিদ। সংস্কারের পর তা ৩১০ বর্গ মিটার হবে এবং তাতে ৪৫ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলের সর্বমোট ৩০টি মসজিদ অন্তর্ভূক্ত হবে।সৌদি আরবের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে তুলে ধরে ঐতিহাসিক মসজিদগুলো মুসল্লিদের জন্য সংস্কার করা এবং এর মূল বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি করাই এ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য। এর আগে গত ৮ এপ্রিল ইসলামের প্রথম মসজিদ পবিত্র কুবা মসজিদ ৫০ হাজার বর্গমিটার সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। তাতে একসঙ্গে ৬৬ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct