সেক আনোয়ার হোসেন, কাঁথি: ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর পদে জিতলেন তৃণমূলের যুব নেতা সুপ্রকাশ গিরি। কাঁথি বলাগেড়িয়া সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে উত্তেজনার মধ্যে জয়ী হলেন তৃণমূলের ৯ জন প্রার্থী। নির্বাচনের শেষে মুখে হাসি রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি ও পুত্র সুপ্রকাশ গিরির সূত্রের খবর,কাঁথি বলাগেড়িয়া সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে ৯ টি ডিরেক্টর পদে নির্বাচন ছিল। আগেই দুটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগরা থেকে অকৃষি আসনে জয়লাভ করেন এগরা বিধায়ক তথা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি ও রামনগর থেকে জয়লাভ করেন চন্দন নন্দ। রবিবার ছিল বাকি সাতটি আসনের নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা ছিল।বিরোধী বিজেপি শিবিরে কোনও প্রার্থী না থাকলেও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই কার্যত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাঁথি শহরে।সজাগ ছিল কাঁথির পুলিশ প্রশাসন।নির্বাচনের শেষে কার্যত জয়লাভ করে ডিরেক্টর পদে নির্বাচিত হন সুপ্রকাশ গিরি,চন্দন নন্দ,উত্তম দাস, দিলীপ জানা, পার্থ সারথি দাস,বিকাশ চন্দ্র বেজ,তরুণ কুমার মাইতি, স্বপনকুমার পড়য়্যা ও সত্যজিত্ ধাঁড়া।বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিরোধী দল বিজেপির মনোনিত কেউ প্যানেলে না থাকলেও কার্যত মন্ত্রীগোষ্ঠী এবং অপর তৃনমূল গোষ্ঠীর লড়াই ছিল।কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন মন্ত্রী ও তাঁর পুত্র সুপ্রকাশ গিরি। তাদের প্যানেলের ৫ জন প্রার্থী জয়লাভ করেন।
নির্বাচনে জয়লাভ করার পর নিজেরই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সদ্য নির্বাচিত ডিরেক্টর ও যুবনেতা সুপ্রকাশ গিরি। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন “ রামনগর আসন থেকে আমি প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলাম। যদিও এটা অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান।এখানে কোনও দলীয় ভাবে চলতে পারে না। তবুও মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন’। তিনি একটু আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘যদিও এখানে কোনও বিরোধীদের প্যানেল ছিল না। এখানে কোনও রাজনৈতিক প্রতীক থাকে না। অনেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিছু ক্ষেত্রে দলের নেতারা সাপোর্ট দিয়ে থাকেন। একটা কথা বলতে চাই ব্যাঙ্কের নির্বাচন নিয়ে অনেকে নোংরামি করছে। আমি তাদেরকে বলি রাজনৈতিকভাবে এগরা ও রামনগরের মানুষ থাপ্পর মেরেছে! এই থেকেই এদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। ব্যাঙ্কের নির্বাচনকে আপনারা নোংরা জায়গায় নামিয়ে নিয়ে এসেছিলেন।ব্যাঙ্কের নির্বাচনে কার্যত টাকা রাস্তায় নেমেছিল’। নাম না করে দলের এক নেতার উদ্দেশ্যে বলেন, কোনও এক নেতা কাঁথিতে বসে টাকা দিয়ে মদত দিয়েছিলেন রামনগরের মানুষকে।তারা প্রমাণ করেছে টাকা দিয়ে রামনগরের মানুষকে কেনা যায় না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct