নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগদা, আপনজন: উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বাগদা সীমান্তের জিৎপুর এলাকায় বিএসএফের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠলো। ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে বাগদা থানার পুলিশ দু’জন বিএসএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার ধৃতদের বাগদা থানার পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের আবেদন করে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়৷ আদালত ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে।উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাগদা থানার রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জিৎপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে দালালের হাত ধরে স্বামী এবং ২ শিশু সন্তানকে নিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন বসিরহাট এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা। সেসময়ে সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের হাতে ধরা পরে যান ওই মহিলা এবং তার ৫ বছরের কন্যা সন্তান। এরপর বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের এএসআই এস পি চেরো এবং কনস্টেবল আলতাফ হোসেন ওই মহিলাকে পাশের একটি পটলখেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে শিশুকন্যার সামনে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় বিএসএফের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন উঠছে সীমান্ত এলাকার সাধারণ গৃহবধূের নিরাপত্তা নিয়ে৷ শুক্রবার রাতে বনগাঁ পুলিশ জেলার এসপি তরুণ হালদার জানান ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা দু’জন বিএসএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করেছি৷’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷ শনিবার বাগদা সীমান্তের সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করে মানুষজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস৷ ঘটনাস্থল ঘুরে গোটা বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। সূত্রে খবর ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করা হবে স্থানীয় জিৎপুর স্কুল মাঠে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct