আপনজন ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর আশ্বাসের পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি, তাই নবম- দ্বাদশের হবু শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীরা তাদের ধর্ণা এখনও অব্যাহত রাখলেন। পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত ২০১৬ সালের প্রথম এস এল এস টি নবম- দ্বাদশের মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরিতে নিয়োগপত্র না পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীগণ কলকাতার বুকে ৫৩১ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্ণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কবে তারা নিয়োগপত্র হাতে পাবেন? কবে তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করা হবে? প্রশ্ন অনেক কিন্তু উত্তর নেই। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্ণারত বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীগণ দিনের পর দিন বুকভরা যন্ত্রণা নিয়ে চোখের জল ফেলছেন প্রতিনিয়ত। যে হবু শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের আগামী দিনে জাতির মেরুদন্ড তৈরি করার কথা ছিল, সেই হবু শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীগণ আজও পথের ধারে ন্যায্য চাকরি ফিরিয়ে আনতে ধর্ণা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ নিয়োগ পাওয়ার কথা ছিল,যারা মেধাতালিকায় সামনের দিকে রয়েছে,যাদের নিয়োগ অগ্রগণ্য ছিল তারাই চাকরিতে নিয়োগপত্র পাননি। বুকভরা যন্ত্রণা সেই মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীগণ কলকাতার বুকে ৫৩১ দিন ধরে ধর্ণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৯ সালে কলকাতার প্রেসক্লাবের সামনে যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের ব্যানারে এই বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীগণ ২৯ দিন ব্যাপী অনশন করেছিলেন। উক্ত অনশন মঞ্চে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী অনশনরত বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চে দাঁড়িয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে মেধাতালিকা ভুক্ত কোনো চাকরি প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হবে না। প্রয়োজনে আইনের কিছু পরিবর্তন করে হলেও তাদের নিয়োগের সুব্যবস্হা করা হবে। সেই আশ্বাসের পরেও বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের সমস্যার সমাধান হয়নি। সম্প্রতি সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের আশ্বাস দিলেও এখন সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই তারা মুখ্যমন্ত্রীর জরুরিকালীন হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রার্থনা করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct