সেক আনোয়ার হোসেন, তমলুক, আপনজন: সিপিএমের শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর সংগঠনের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড বাধল। তমলুকে পুলিশের সঙ্গে বামকর্মীদের সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশের বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড ভেঙে দেয় বামেদের বিশাল জমায়েতে। তারপর জমায়েত হঠাতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস চালায় পুলিশ। পাল্টা পুলিশের দিকে আধলা ইট ছুড়তে থাকেন বামকর্মীরা। জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও অভিযান ডেকেছিল বামেরা।সেই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন সুজন চক্রবর্তী, অনাদি সাহুরা। নমতৌড়ি এলাকায় মিছিল ঘুরে জেলাশাসকের দফতরের দিকে এগোতে গেলেই বাধা দেয় পুলিশ। সেই সময়েই ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। গোড়ার দিকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রাচীর ভেঙে এগিয়ে যায় মিছিল। তারপর সেই জনস্রোত আটকাতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান চালাতে শুরু করে পুলিশ। পাল্টা পুলিশের দিকে আধলা ইট ছুড়তে শুরু করে বামকর্মীরা। বেশ খানিকক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। বেশ কয়েক বছর ধরেই পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএমের সংগঠন ক্ষইতে ক্ষইতে রক্তশূন্যতার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বামফ্রন্টের বেশ কয়েক জন কর্মী আহত হয় সেক রমজান সৌভিক ঘোষ,রাজিবুল মল্লিক,রাজু মাইতি সহ অনেকেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct