সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহের জন্য পরিষেবা কর ধার্য করেছে হুগলির কয়েকটি পুরসভা। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের অভিযোগ, এ বার পরিষেবা করের নামে দুর্নীতি শুরু করবে শাসকদল। সম্প্রতি জাপানের সহযোগিতায় বৈদ্যবাটিতে শুরু হয়েছে জাইকা প্রকল্পের কাজ। চাঁপদানি, বৈদ্যবাটি, শ্রীরামপুর, রিষড়া, কোন্নগর এবং উত্তরপাড়া— এই ছ’টি পুরসভার জঞ্জাল বৈদ্যবাটির ডাম্পিং স্টেশনে ফেলা হচ্ছে। শহরকে জঞ্জালমুক্ত করতে কঠিন বর্জ্যকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এ জন্য শহরবাসীর বাড়ি থেকে জঞ্জাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকেও বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই জঞ্জাল সংগ্রহে ধার্য হয়েছে ২০ থেকে ১০০ টাকা। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দিলে এমনিতেই কর দেবে। কিন্তু কর বাড়ানো ঠিক নয়।’’ অন্য দিকে, উত্তরপাড়ার সিপিএম সদস্য অর্ণব দাসের অভিযোগ, পরিষেবা করের নামে এ বার দুর্নীতি শুরু হয়ে যাবে।শাসকদল অবশ্য এই টাকাকে কর বলতে চাইছে না। শ্রীরামপুর-হুগলি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুঁই বলেন, ‘‘এটা ঠিক কর নয়। পরিষেবা ফি বলতে পারেন।’’ তাঁর সংযুক্তি, ‘‘গরিব মানুষদের জন্য এতে ছাড় আছে। বৈদ্যবাটি পুরসভাতে এ জিনিস অনেক আগেই চালু হয়েছে। বৈদ্যবাটি পুরসভা এই টাকা আদায়ের জন্য বিল ছাপিয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, অনুদান হিসেবে এই টাকা আদায় করা হচ্ছে।’’ উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘আমরা চাইছি, শহরকে জঞ্জালমুক্ত রাখতে। এ জন্য কোনও সংস্থা বা সংগঠন যদি কোনও মতামত দিতে চান, তবে আমরা আলোচনা করতে রাজি।’’যদিও তৃণমূল পরিচালিত শ্রীরামপুর পুরসভার মধ্যে ভিন্ন মত রয়েছে। ওই পুরসভার সিআইসি বলেন, ‘‘জঞ্জাল মুক্ত করার জন্য পরিষেবা কর নিতে আপত্তি নেই। আমরা বলেছিলাম বাড়ি থেকে যেন এই কর না নেওয়া হয়। শুধু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া হোক।’’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct