সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম, আপনজন: বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে চলা মূল দুটি রাইস মিল ভোলে বোম রাইস মিল (কালিকাপুর, বোলপুরে হানা দেওয়ার পরপরই সোমবার সকালে বোলপুর বাঁধগড়ায় অবস্থিত শিব শম্ভু রাইস মিলে হানা দেয় সিবিআই প্রতিনিধি দল। বোলপুরে ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তদন্ত চালানোর পর অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের নামে আরও ১২টি রাইস মিলের হদিশ পাওয়া যায় বলে সিবিআই সুত্রে খবর। তার মধ্যে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ রাজীব ভট্টাচার্যর ৭ টা রাইস মিল রয়েছে। রাজীব হলেন অনুব্রতর বিনিয়োগকারী। এছাড়াও, অনুব্রতর ভগ্নিপতি কমলকান্তি ঘোষ শিব শম্ভু রাইস মিলের মালিক ।অন্যদিকে মহানন্দা রাইস মিলের মালিক পারমিতা ঘোষ ও রাজা ঘোষ। রাজা হলেন অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে। মা শান্তিময়ী রাইস মিলের মালিক সুকুমার মজুমদার, সঞ্জীব মজুমদার। এঁরা প্রত্যেকেই অনুব্রত মণ্ডলের আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠজন বলে সূত্র মারফত জানা যায় ।এইভাবে বীরভূমের ছোট-বড় একাধিক মিলের অংশীদারিত্ব রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠজন বা আত্মীয়দের নামে বলে সিবিআই সুত্রে জানা যায়। পাশাপাশি সূত্র মারফত জানা গেছে, ভোলে ব্যোম রাইস মিলের সঙ্গে রাজ্য রেশন দফতরের সংযোগ পাওযা গেছে। উল্লেখ্য সিবিআই এই রাইস মিলে হানা দিয়ে যে নথি উদ্ধার হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে এই মিল থেকে চাল নিত রাজ্য রেশন দফতর। যা রেশন ডিলারদের পাঠানো হত। রাজ্য খাদ্য দফতরের সঙ্গে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের চুক্তি সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে।আরও জানা গেছে বর্তমানে কেন্দ্র চাল না দিয়ে তার পরিবর্তে টাকা দেওয়া হত। সেই টাকায় রাজ্য চাল কিনে রেশন মাধ্যমে চাল সরবরাহ করে গ্রাহকদের।আজ সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে রয়েছেন এফসিআই আধিকারিকেরাও। তবে তাঁরা রাইস মিলে আসতে গেটে তাঁদের আটকানো হয়নি। ডাকাডাকি করার সঙ্গে সঙ্গেই গেট খুলে দেওয়া হয়। তারপর তদন্তকারীরা রাইস মিলের ভিতরে ঢুকে সমস্ত নথি খতিয়ে দেখেন। দীর্ঘদিন এই রাইস মিলটি বন্ধ ছিল, যার ফলে গোয়েন্দাদের সন্দেহ আরও জোরাল হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct