নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: সরকারি নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত এ্যামবুলেন্স ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে চালক,ডাক্তার ও এ্যামবুলেন্স চেন মাস্টারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর আত্মীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেল ২ টা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। জানা যায়,মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা তারিখ আনোয়ার তার দশ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আসমিন খাতুনকে বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন।হাসপাতালে তিনদিন থাকার পর রোগীর বেগতিক অবস্থা দেখে ডাক্তারবাবুরা শনিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেন। হাসপাতাল চত্বরে থাকা অ্যাম্বুলে চালক ও চেন মাস্টারকে বলতে গেলে অতিরিক্ত ভাড়া হিসেবে ৪০০ টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। টাকা জোগাড় করতে না পেরে হাসপাতালের বাইরে দুই ঘণ্টা ধরে পড়ে থাকে অন্তঃসত্ত্বা বধূ বলে অভিযোগ।
অন্তঃসত্ত্বা বধূ আসমিনা খাতুনের স্বামী তারিখ আনোয়ার জানান,তিনদিন ধরে তার স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি ছিল।শনিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ ডাক্তারবাবুরা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেয়।এক এ্যামবুলেন্স মালিককে ফোন করলে সে অতিরিক্ত ভাড়া হিসেবে ৪০০ টাকা দাবি করে।অপরদিকে চেন মাস্টারকে বলতে গেলেও সেও সেই অতিরিক্ত ভাড়ার কথা বলে অভিযোগ।বিএমওএইচ অমল কৃষ্ণ মন্ডলকে জানাতে গেলে সে প্রথম দিকে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেইনি।পরে যদিও ডাক্তারবাবুর কথামত চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য হয় এক চালক।ডাক্তারবাবুদের যোগসাজশে হাসপাতালে এই ধরনের দুর্নীতি চলছে বলে সরাসরি অভিযোগ তুললেন অন্তঃসত্ত্বা বধূর পরিবারের লোকেরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,বেসরকারি এ্যামবুলেন্স মালিকরা দূরত্ব অনুয়ায়ী সরকারিভাবে ভাড়া পেয়ে থাকে।হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল থেকে চাঁচলের দুরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার।এর জন্য সরকারিভাবে এ্যামবুলেন্স মালিকরা ৪৫০ টাকা পায়। অ্যাম্বুলেন্স চালকরা রোগীর পরিবারের কাছে এর বাইরে অতিরিক্ত ভাড়া চাইতে পারে না।যদি চেয়ে থাকে তাহলে সেটা বেআইনি। বিএমওএইচ অমল কৃষ্ণ মন্ডল জানান,সে লিখিত ভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।তবে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct