আপনজন ডেস্ক: নতুন একটি ম্যাচ, তবে গল্পটা যেন আগেরটির মতোই। অন্তত ম্যাচের প্রথম ভাগে। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টসে জিতে ফিল্ডিং নিল ভারত। জিম্বাবুয়ে ইনিংসে ধস নামল শুরুতে, মাঝে সেটি আটকানোর একটু চেষ্টা হলো। তবে ৪০ ওভারের মধ্যেই গুটিয়ে গেল স্বাগতিকেরা। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও জিতেছে ভারত, পার্থক্য বলতে এবার ভারতের ৫টি উইকেট নিতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। অবশ্য জিম্বাবুয়ে লড়াইয়ে ছিল, সেটি বলা যাচ্ছে না। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে যাওয়া ভারত জিতেছে ১৪৬ বল বাকি থাকতেই, নিশ্চিত করেছে এক ম্যাচ বাকি থাকতে তিন ওয়ানডের সিরিজ জয়।
আগের ম্যাচে শুরুর ধস মাথায় রেখেই কিনা জিম্বাবুইয়ান ওপেনার তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো ও ইনোসেন্ট কাইয়া এদিন শুরুটা করেন সতর্ক, প্রথম ৭ ওভারে তাঁরা তোলেন মাত্র ১২ রান। তবে সতর্ক ব্যাটিং কাজে আসেনি খুব একটা। প্রথম আঘাতটা করেন মোহাম্মদ সিরাজ, তাঁর বলে উইকেটের পেছনে সঞ্জু স্যামসনের হাতে ক্যাচ দেন ৩২ বলে ৭ রান করা কাইতানো। এরপর শার্দূল ঠাকুরের শিকার আরেক ওপেনার কাইয়া, ২৭ বলে তিনি করেন ১৬ রান। ওই ওভারে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রেজিস চাকাভাকেও ফেরান ঠাকুর। প্রসিধ কৃষ্ণ এসে ওয়েসলি মাধেভেরেকে ফেরালে ৩১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে, ১২.৪ ওভারে। প্রথম ওয়ানডেতে ১০.১ ওভারের মধ্যে ৩১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল স্বাগতিকেরা। জিম্বাবুয়ে ইনিংসের পুনর্গঠনের চেষ্টা করেন এরপর শন উইলিয়ামস। সিকান্দার রাজার সঙ্গে ৪১ রানের পর রায়ান বার্লের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ওঠে ৩৩ রান। স্পিনে ভুগতে থাকা রাজা ক্যাচ দেন কুলদিপ যাদবের বলে। এরপর দীপক হুদার লেংথ বলে স্লগ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ৪২ বলে ৪২ রান করা উইলিয়ামস। পরের চেষ্টাটি করেছিলেন বার্ল, তবে সেভাবে তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। ঠাকুরের বলে লুক জঙ্গুয়ে, অক্ষর প্যাটেলের বলে ব্র্যাড এভান্স বোল্ড হন। জিম্বাবুয়ে শেষ ২ উইকেট হারায় রানআউটে, ৩২ রান তুলতে হারায় শেষ ৪ উইকেট। বার্ল একদিকে অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৩৯ রানে। আগের ম্যাচে ভারতের উদ্বোধনী জুটিই ভাঙতে পারেনি জিম্বাবুয়ে, এবার শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে লোকেশ রাহুল ফেরেন দ্বিতীয় ওভারে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct