সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে সাসপেন্ড করেছিল তৃণমূল । মন্ত্রীত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূলের মহাসচিব, সব পদই খুইয়েছিলেন তিনি। তবে দল মুখ ফেরালেও পার্থ দলের সঙ্গেই আছেন। শনিবার এসএসকেএম থেকে বেরোনোর পর এমনটাই জানালেন প্রাক্তন শিক্ষা ও শিল্পমন্ত্রী।প্রেসিডেন্সি জেলে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন পার্থবাবু। তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তাঁর বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা হয়। এরপর হাসপাতাল থেকে বের করে আনা হয় তাঁকে। ইডি-র গাড়িতে করে পার্থ যখন এসএসকেএম ছাড়ছেন, সাংবাদিকদের বুম ঘিরে ধরে তাঁকে। জানলার কাচ নামিয়ে তিনি বলেন, ‘দলের সঙ্গেই ছিলাম, দলের সঙ্গেই আছি’। আর কথা বাড়াননি প্রাক্তন মন্ত্রী।এদিকে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে যেদিন সাসপেন্ড করা হয়েছিল, সেদিন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পষ্টাপষ্টিই বলেছিলেন, তদন্ত যতদিন চলবে ততদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাসপেনশন বহাল থাকবে। তিনি যদি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে দলের দরজা তাঁর জন্য খোলা থাকবে।পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল যে দূরত্ব তৈরি করেছে তাতে সন্দেহ নেই। তবে দল যাই বলুক, তৃণমূলের সঙ্গ ছাড়তে চান না পার্থ, এসএসকেএম থেকে সে কথাই বুঝিয়ে দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী।এদিন সাংবাদিকরা পার্থ বাবুর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কেও প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। সেই প্রশ্নেরও খুব সংক্ষিপ্ত জবাব দেন পার্থ বাবু। বলেন, “ভাল নেই।”উল্লেখ্য, এর আগে প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানতে চেয়েছিলেন, বড় কোনও নেতা তাঁর খোঁজখবর নিচ্ছেন কি না। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছিল। কিন্তু পার্থ বাবু তখন নেতিবাচক জবাবই পেয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। তাতে তিনি কিছুটা নিরাশও হয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার এসএসকেএম ছাড়ার সময় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়ে গেলেন, দলের উপরেই আস্থা রাখছেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct