আপনজন ডেস্ক: করোনা ভাইরাস জ্বরের আবহে ভাইরাস জ্বর দেশজুড়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।এই ভাইরাস জ্বর সাধারণত পাঁচ-সাত দিন থাকে। ১০২-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর হয়। শরীরের পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, চোখ লাল হওয়া, নাক দিয়ে জল পড়া, গলাব্যথা, কাশি ইত্যাদি থাকতে পারে। অনেক সময় জ্বরে প্যারাসিটামল খাবার পরও জ্বর পুরোপুরি ছেড়ে যায় না। বিশেষ করে ডেঙ্গু বা টাইফয়েড হলে জ্বর প্রথম দিকে নিচে নামতেই চায় না। তাই বলে অতিরিক্ত প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হচ্ছে ৯৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি যদি জ্বর থাকে এবং কিডনি অথবা লিভারে কোনো সমস্যা না থাকে তাহলে ৫০০ মিলিগ্রামের দুটি প্যারাসিটামল বড়ি দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টা অন্তর সেবন করতে পারেন। অতিরিক্ত মাত্রায় প্যারাসিটামল সেবন নানা ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। যেমন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, হজমের সমস্যা, বিপাক হার কমে যাওয়া, লিভারের বা কিডনির ক্ষতি। জ্বর হলে আবার চট করে অ্যান্টিবায়োটিক নয়। জ্বর হলেই আমরা অ্যাজিথ্রোমাইসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন বা সেফিক্সিম–জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাওয়া শুরু করে দিই। কারণ, আগে কখনো এ ওষুধ ডাক্তার দিয়েছিল। অনেক সময় দোকানদার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এমনটা কখনো করবেন না। ভাইরাসজনিত জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। এমনকি ডেঙ্গু বা কোভিড, ইনফ্লুয়েঞ্জাতেও অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো ভূমিকা নেই। আবার ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ যেমন টাইফয়েডে অ্যান্টিবায়োটিকের পৃথক মাত্রা রয়েছে, যা চিকিৎসক ছাড়া বোঝা মুশকিল। প্রস্রাবের সংক্রমণে কালচারে প্রাপ্ত জীবাণু দেখে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়। শুরুতেই অ্যান্টিবায়োটিক খেলে বিপদ আছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct