সঞ্ঝীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: ভোট আসে ভোট যায়, মানুষ তাদের জন প্রতিনিধিদের ভোট দিয়ে রাষ্ট্রে প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠায়,আর তাদের দেওয়া আশ্বাস কিন্তু আশ্বাস হয়েই রয়ে যায়। এমনই এক চিত্র উঠে এল বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের রাধামোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দামোদর নদের উপর অবস্থিত রনডিহা জলাধার। বছরভর রুজির টানে তার ওপর দিয়ে মানুষের যাতায়াত লেগেই থাকে,কিন্তু বর্ষা এলেই বাঁধে-বিপত্তি।এই দামোদর নদ বরাবরই বর্ষা জলে পুষ্ট,সামান্য বর্ষনেই নদী ভরে ওঠে প্রবল বর্ষণ হলে তো বালাই ষাট নদী যেন ফোঁসে।ভারী বর্ষনের ফলে জল নেমে আসে রাস্তায় পিচ্ছিল হয় রাস্তা, এহেন অবস্থায় পারাপার যেন একটা যুদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়। দামোদরের এই পার বাঁকুড়া ঐ পার বর্ধমান সারাদিনই রুজির টানে এপার আর ওপার করতে হয় মানুষদের, চলে শাকসবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিসের আদান-প্রদান। বছরের বাকি সময়টা ঠিকঠাক চললেও বরষার সময়টা বেগ পেতে হয়, যান চলাচল করা একদম দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এই নদীপথ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অতীতে ঘটে গেছে অনেক দুর্ঘটনা তবু যেন হুঁস ফেরেনি কারোর। অমিয় সরকার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানালেন,’এই পথ দিয়ে এই সময় পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে এক সেকেন্ডও সময় লাগছে না, হাজার হাজার মানুষ ব্যাবসায়িক কারণে পারপার করে, তাদের নৌকোও অনেক সময় ডুবে গেছে। সরকারের কাছে দ্বারস্থ হয়েও হয়রান হয়ে গেছি। সুভাষ বাগদী নামে আরেক পারাপারকারী ব্যক্তি জানালেন,’দুই জেলার মানুষ এই পথ দিয়ে পারাপার করায় এর গুরুত্ব অনেক, যদি এটা নিয়ে স্থায়ী কিছু একটা সমাধানের কথা সরকার ভাবে তাহলে অনেকটাই উপকৃত হবে সাধারন মানুষ’। বাপ ঠাকুর দাদার আমল থেকে তৈরি হওয়া এই সমস্যার যাতে স্থায়ী একটা সমাধান হয় তার যেন কাতর আর্জি জানাচ্ছে স্থায়ীরা।দুবেলার অন্ন বস্ত্র জোগাড় করতে এপার থেকে ওপারে যাওয়া মানুষগুলোর সমস্যার আদেও কি কোনো সমাধান মিলবে এটাই এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে।