আপনজন ডেস্ক: কাঠে খোদাইকৃত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কুরআন শরিফের কথা হয়তো অনেকে জানেন না। ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুমাত্রা প্রদেশের পালেমবাঙ্গেতে এ কুরআনটি রয়েছে। কাঠের ওপর খোদাইকৃত কুরআনটির প্রতি পৃষ্ঠার দৈর্ঘ্য ১.৭৭ মিটার এবং প্রস্থ ১.৪০ মিটার। অর্থাৎ ৫.৮ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৪.৬ ফুট প্রস্থ। এমন কুরআনের পাণ্ডুলিপি প্রস্তুতকারক সাফওয়াতিল্লাহ মোহজাইব বলেন, ত্রিশ পারা কুরআনের এই পাণ্ডুলিপিটি তৈরি করতে নয় বছর সময় লেগেছে। প্রয়োজনীয় কাঠ ও অর্থের অভাবেই মূলত কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে দেরি হয়েছে।
প্রস্তুতকারক সাফওয়াতিল্লাহ জানান, জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষের সাবেক স্পিকার মারজুকি আলিয়ে এবং নিম্নকক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান তৌফিক কিমার মতো আরো কিছু দাতার সহায়তায় তিনি তার মহৎকর্ম সম্পন্ন করতে সক্ষম হন। ২০০০ সালে প্রথম সফওয়াতিল্লাহর মাথায় এমন কাজ করার চিন্তা আসে। তখন তিনি পালেমবাঙ্গের মসজিদে ক্যালিওগ্রাফিবিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছিলেন।এক বছর পর তিনি কুরআনের প্রথম পৃষ্ঠার সূরা ফাতিহা খোদাই করে লিখতে আরম্ভ করেন। কাঠ খোদাইয়ের পূর্বে সাফওয়াতিল্লাহ ভিন্ন একটি কার্ডবোর্ডে নকশা এঁকে বিশেষজ্ঞদের দেখাতেন। তাদের অনুমোদন পাওয়ার পর তিনি ট্রেসিং পেপারে নকশাটি ওঠাতেন এবং এরপর খোদাইয়ের কাজ শুরু করেন। এভাবে এক পৃষ্ঠা সমাপ্ত করতে এক মাসেরও বেশি সময় লেগে যেত তার। কাঠের বৃহৎ পাণ্ডুলিপিটি তৈরিতে তিনি স্থানীয় টেমবেসু গাছের কাঠ ব্যবহার করেন। শক্ত, মজবুত, টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী হওয়ায় দক্ষিণ সুমাত্রায় বিভিন্ন স্থায়ী কাঠামো নির্মাণে এ কাঠ ব্যবহার করে থাকেন স্থানীয়রা। পাঁচতলা বিশিষ্ট এ বিশাল কুরআনটি পেলামবাঙ্গের আল-ইহসানিয়া গান্দুস বোর্ডিং স্কুলের আল-কুরআন আল আকবর জাদুঘরে রাখা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct