আপনজন ডেস্ক: জোট বদলের পর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার নতুন মন্ত্রিসভার জাতভিত্তিক সমীকরণও বদলে দিলেন। আরজেডির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কমিয়ে দিলেন মন্ত্রিসভায় উচ্চবর্ণের প্রতিনিধিত্ব। মন্ত্রিসভায় বাড়ালেন অনগ্রসর, অতি অনগ্রসর ও মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব। গত মঙ্গলবার নীতীশ কুমার ও তেজস্ভী যাদবের নেতৃত্বাধীন যে মন্ত্রিসভার শপথ নিয়েছে বিহারে তাতে সবচেয়ে বেশি প্রতিনিধিত্ব আরজেডির (১৬)। তারপর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ (১১)। এছাড়া মন্ত্রিসভায় রয়েছেন কংগ্রেসের ২ জন, হাম–এর ১ জন ও একজন নির্দল সদস্য।
মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার নিজের হাতে রেখেছেন স্বরাষ্ট্র দফতর। তবে, নতুন মন্ত্রিসভার চমক অবশ্য অন্যত্র। কমিযে দেওয়া হল উচ্চবর্ণের প্রতিনিধিত্ব। নীতীশ নেতৃত্বাধীন জেডিইউ-বিজেপি মন্ত্রিসভায় উচ্চবর্ণের সদস্য ছিলেন ১১ জন, যাঁদের ১০ জনই ছিলেন বিজেপির। উচ্চবর্ণের এই প্রতিনিধিত্ব এবার কমে হয়েছে ছয়জন। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় মুসলমান সদস্য ছিলেন মাত্র দুজন। এবার তা বেড়ে হয়েছেন পাঁচজন। কংগ্রেসের যে দুজন মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের একজন মুসলমান। দলিত মন্ত্রীও বেড়ে হয়েছেন পাঁচজন। ফলে নয়া জোট সরকার বোঝাতে চাইছে উচ্চবর্ণের সংখ্যা হ্রাস করে বোঝাতে চেয়েছেন, বিজেপি উচ্চবর্ণের স্বার্থ রক্ষায় বেশি সচেষ্ট ছিল। জাতভিত্তিক বিহারি রাজনীতিতে এই সমীকরণ গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রিসভা গড়ার সময় নিতীশ ও তেজস্বী দুই নেতাই এ বিষয়ে সজাগ থেকেছেন। মোট ৩১ জনের মন্ত্রিসভায় তাই অন্য অনগ্রসর (ওবিসি) ও অতি অনগ্রসর শ্রেণি (ইবিসি) থেকে ঠাঁই হয়েছে ১৭ জনের। একক জাত হিসেবে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য অনগ্রসর যাদবদের। মোট মন্ত্রীর সংখ্যা ৭। আগেরবার যাদব মন্ত্রী ছিলেন দুজন। এবার মহিলা মন্ত্রী হয়েছেন তিনজন। বিহারে মোট মন্ত্রী করা যাবে ৩৬ জনকে। অর্থাৎ ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণের জন্য পাঁচটি মন্ত্রী পদ খালি রইল। অন্যদিকে নীতীশ ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন স্পিকার বিজয় চৌধুরী পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের দল আরজেডি পেল স্বাস্থ্য, নগর উন্নয়ন, গ্রাম উন্নয়ন, আবাসন ও পূর্ত মন্ত্রণালয়। তেজস্বীর বড় ভাই তেজপ্রতাপ হলেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct