নিজস্ব প্রতিবেদক, ভরতপুর, আপনজন: পার্থ থেকে অনুব্রত গ্রেপ্তার হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে এমনিতেই অসস্তিতে রয়েছে তৃণমূল তারপরে পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর তাও আবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের গুন্দিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে চলল তাণ্ডব! পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে প্রধানকে মারধর, গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েতের এক সদস্য সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। গ্রাম পঞ্চায়েতের চেয়ার, টেবিল, ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল। প্রসঙ্গত চারজন পঞ্চায়েত সদস্য দীর্ঘদিন পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে না আসার কারণে তাদের সদস্য পদ খারিজ করার জন্য বিডিওর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। এরপর আজ পঞ্চায়েত সদস্য এবং পঞ্চায়েত প্রধানকে হিয়ারিংয়ের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিডিও। সেখানে যাওয়ার পথে পঞ্চায়েত প্রধান হরপ্রসাদ ঘোষকে ধরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হরপ্রসাদ ঘোষ অভিযোগ করেন, নির্দল মেম্বার নিরজ শেখ, কংগ্রেসের মেম্বার প্রিয়ব্রত ঘোষ, তৃণমূল কংগ্রেস মেম্বারের স্বামী তাপস ঘোষ, বিজেপি’র মেম্বার লাল্টু মণ্ডল এই কান্ড ঘটিয়েছেন। শনিবার ঘটনাকে ঘিরে কার্যত উত্তেজনা ছড়াল পঞ্চায়েত অফিসে। পঞ্চায়েত প্রধান হরপ্রসাদ ঘোষ ভরতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগ শনিবার সকালে বিডিও অফিসে যাবেন বলে কাগজপত্র গুছিয়ে নিচ্ছিলেন, সেই সময় অফিসে এসে হামলা চালায় প্রিয়ব্রত ঘোষ, নিরজ শেখ, তাপস ঘোষ , লাল্টু মণ্ডল। ভাঙচুরের পাশাপাশি ব্যাগে থাকা গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালায়। গোটা ঘটনায় পঞ্চায়েত অফিস জুড়েই ভাঙচুরের চিহ্ন স্পষ্ট। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই কি এই হামলা? যদিও গোটা ঘটনায় গোষ্ঠী কোন্দল প্রসঙ্গ উড়িয়ে নির্দল, কংগ্রেস, বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ভরতপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় সরখেল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct