সুব্রত রায়, কলকাতা,আপনজন: মুদির দোকানি, সামান্য মাছ বিক্রেতা থেকে কয়েক বছরের মধ্যে রাতারাতি বিপুল টাকার মালিক। সঙ্গে বিপুল প্রভাব প্রতিপত্তি। কিভাবে এই অসাধ্য সাধন করলেন? কোন সিঁড়ি ভেঙে এভাবে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন তিনি? তা জানতেই এবার অনুব্রত মণ্ডলকে টানা জেরা শুরু করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কর্তারা। বস্তুত, গরু পাচার মামলায় বৃহস্পতিবারই বাড়ি থেকে অনুব্রতকে নিয়ে আসেন তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশে আপাতত ২০ আগস্ট পর্যন্ত তাঁকে থাকতে হবে সিবিআই হেফাজতে। হাতে থাকা এই ক’দিনের সময়সীমা নষ্ট করতে নারাজ তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, প্রশ্নমালাও তৈরি। আয়ের উৎস জানতে শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় জেরা। দিনভর দফায় দফায় অনুব্রতকে জেরা করার মানসিকতা নিয়ে কাজ শুরু করেছে তদন্তকারীরা বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। বস্তুত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের সরাসরি যোগ থাকার তথ্য প্রমাণ হাতে রয়েছে বলেই দাবি গোয়েন্দাদের। সেই সূত্রে গোয়েন্দাদের অনুমান, শুধু নির্দিষ্ট কোনও একটি সেক্টর নয়, একাধিক সেক্টরের মাধ্যমেই এই টাকা আয় করে থাকতে পারেন অনুব্রত। যেখানে তিনি কোনও বেনামী কোম্পানিও খুলে থাকতে পারেন বলে গোয়েন্দাদের আশঙ্কা। সেই সংক্রান্ত বিষয়েই জানতে এবার অনুব্রতকে টানা জেরা করা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। তবে কিছুতেই মুখ খোলেননি শাসকের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা। তবে হাল ছাড়তে নারাজ তদন্তকারীরা। এক গোয়েন্দা কর্তার কথায়, ‘‘অনুব্রত যেমন অসুস্থতার অজুহাতে মিসগাইড করছিলেন ঠিক তেমনই আদালতের কথা বলে ওকে তোলা সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রেও নতুন কোনও চাল চালতে হবে! তা না হলে শুধু শুধু প্রশ্নবানের জেরে পেটের কথা বেরুবে বলে মনে হচ্ছে না।’’ অনুব্রত মণ্ডলের মুখ খোলাতে এখন নিজাম প্যালেসের ১৪ জন দক্ষ সিবিআই অফিসার আপ্রাণ মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct