আপনজন ডেস্ক: বিশেষজ্ঞদের এক বৈঠকের পর ইংল্যান্ডের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে খরা ঘোষণা করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যে শুষ্ক অবস্থা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। দেশটির কয়েকটি অংশে এই বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃষ্টিপাতই হয়নি। এরপরই ন্যাশনাল ড্রাউট গ্রুপ আনুষ্ঠানিকভাবে খরা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিবেশ সংস্থা যে আটটি এলাকায় খরা ঘোষণা করেছে সেগুলো হচ্ছে: ডেভন অ্যান্ড কর্নওয়াল, সোলেন্ট অ্যান্ড সাউথ ডাউনস, কেন্ট অ্যান্ড সাউথ লন্ডন, হার্টস অ্যান্ড নর্থ লন্ডন, ইস্ট অ্যাঙ্গিলা, টেমস, লিঙ্কোনশায়ার অ্যান্ড নর্দাম্পটনশায়ার, এবং ইস্ট মিডল্যান্ডস।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের হাতে আসা নথিতে দেখা গেছে, পরিবেশ সংস্থা আগস্ট মাসে আরও দুইটি এলাকায় খরা ঘোষণা করতে পারে। সেগুলো হচ্ছে ইয়র্কশায়ার এবং ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস। দীর্ঘায়িত শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য ইংল্যান্ডে চার ধরনের জরুরি আবহাওয়া পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়ে থাকে। এই মাসের শুরুতে বিশেষজ্ঞদের এক বৈঠকে প্রথম ধাপের জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে এবার আরও একধাপ বাড়িয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের জরুরি অবস্থা খরা ঘোষণা করা হয়েছে।অন্যদিকে, প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত টেমস নদীর উৎস অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ মাত্রায় শুকিয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, খরার কবলে পড়তে পারে যুক্তরাজ্য। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশটির প্রস্তুতিও নেই বলে মনে করছেন তারা। তীব্র গরম এবং কম বৃষ্টির কারণে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের দুটি জল সরবরাহ কোম্পানি হোসপাইপ ও স্প্রিংকলার সিস্টেম ব্যবহারের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। টেমস ওয়াটার নামের আরও একটি কোম্পানি একই রকম ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিস বলছে, ১৯৩৫ সালের পর সবচেয়ে বেশি শুষ্ক ছিল গত জুলাই মাস। এ সময়ে ২৩ দশমিক ১ মিলিমিটার গড় বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে অর্থাৎ ৩৫ শতাংশ বৃষ্টিপাত হয়েছে দেশটিতে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct