আজিজুর রহমান, গলসি, আপনজন: গলসি ২ নং ব্লকের সাঁকো মিনি বাজার থেকে চাঁদপুর যাবার দেড় দুই কিমি রাস্তার বেহাল দশা। দীর্ঘ তিন চার বছর ধরে রাস্তার সারাই করেনি সাঁকো গ্রামপঞ্চায়েত। যার জেরে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে রাস্তায়। গর্তে বৃষ্টির জল জমে কর্দমাক্ত হয়ে গেছে রাস্তা। ফলে নিত্যদিন সমস্যায় পরছেন গ্রামের ছয়শোর অধিক মানুষ। গ্রামবাসীদের দাবী, রাস্তা খারাপ হওয়ার জন্য রোগী নিতে গ্রামে আসতে চাইছেনা অ্যাম্বুলেন্স সহ বিভিন্ন যানবহন। ফলে তারা বিরাট সমস্যায় পরেছেন। বিষয়টি নিয়ে তারা সাঁকো গ্রাম পঞ্চায়েত জানালে এখনও প্রযন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি গ্রামপঞ্চায়েত কতৃপক্ষ।
ফলে দুর্ভোগ এখন নিত্য সঙ্গী চাঁদপুর গ্রামের মানুষদের। স্থানীয় বাসিন্দা শুভেন্দু ঘোষ, ঝর্না রায়, রামপ্রসাদ ঘোষ, বিকাশ ঘোষরা বলেন, তাদের পোল্টি ফার্মের ব্যবসা আছে। রাস্তা খারাপের কারণে মুরগির বাচ্চা ও খাবার দিতে গ্রামে গাড়ি ঢুকতে চাইছে না গাড়ি। ফলে তাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়াও রোগী নিতে গ্রামে ঢুকতে চাইছে না অ্যাম্বুলেন্স। ফলে সারা বর্ষাকাল তারা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। তাদের দাবী, গ্রামপঞ্চায়েত বা প্রশাসন তাদের রাস্তা সারাই এর ব্যবস্থা করুক। স্থানীয় সাঁকো স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র সুমন ঘোষ বলে, রাস্তা খারাপ হওয়ায় নিত্য সাইকেল নিয়ে স্কুলে যেতে অসুবিধা হচ্ছে গ্রামের পড়ুয়াদের। গোটা রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। জল হলে সেই গর্তে জল ঢুকে রাস্তা পুকুরের আকার নিয়েছে। একটু অসাবধান হলেই সাইকেল নিয়ে রাস্তার পরে যাচ্ছে তারা। রাস্তাটি সারাই না করায় নিত্য যন্ত্রনা ভোগ করছেন গ্রামের স্কুল পড়ুয়ারা। কলেজ পড়ুয়া পুস্কর ঘোষেরও একই অভিযোগ। গ্রামের সবজী ও মাছ ব্যবসায়ী কালিপদ মাঝি ও শিবপদ মাঝি, বলেন, গ্রামের চাষিরা ও রোগীরা বাজার ও চিকিৎসা করাতে যেতে পারছেন না। তাদেরও দাবী দ্রুত রাস্তা সারাই করুক গ্রাম পঞ্চায়েত বা ব্লক প্রশাসন। এবিষয়ে সাঁকো গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ আলি মোল্লা বলেন, গ্রামের ভিতরের রাস্তাগুলি তারা ঢালাই করেছেন। গ্রাম ঢোকার মেন রাস্তাটি প্রায় দেড় কিমি দীর্ঘ। তাই তারা কাজটি জেলা পরিষদে পাঠিয়ে ছিলেন। জেলা পরিষদ কাজটি করার অনুমোদন দিয়েছে। কাজের অ্যাকশন প্লান তাদের কাছেই আছে। লেবার বাজেট খুললেই কাজটি শুরু হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct