আপনজন ডেস্ক: বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বেহাল দশা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একদিকে শিক্ষক পদে নিয়োগে পাহাড় সমান দুর্নীতি, আর অন্যদিকে শিক্ষাঙ্গনে পড়াশোনার পরিবেশ ভূলুণ্ঠিত। এই অভিযোগে স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া, পশ্চিমবঙ্গ শাখা শিক্ষার পুনর্মূল্যায়ন, সমুন্নত শিক্ষাঙ্গন ও বেকারত্ব দূরীকরণের আওয়াজ তুলেছে। এ বিষয়ে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সাবির আহমেদ বৃহস্পতিবার এক সাংভাদিক সম্মেলনে বলেন, “একদিকে স্কুলগুলো যোগ্য শিক্ষকের অভাবে ভুগছে, অন্যদিকে কলকাতার রাজপথে চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে অনশন করতে বাধ্য হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক বদলির জন্য গ্রামের স্কুলগুলোতে ব্যাপক শূন্যপদ তৈরি হয়েছে।” এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুলছুট বৃদ্ধির জন্য সরকারি উদাসীনতাকে দায়ী করেন সাইদ মামুন। জামাআতে ইসলামী হিন্দের মিডিয়া সম্পাদক ডা. মসিহুর রহমান বলেন, “শিক্ষাঙ্গনে ধর্মীয় বৈষম্য প্রকট হয়ে উঠেছে। হিজাব পরার জন্য নার্সিং পড়ুয়ারা মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে।” তিনি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিকাঠামোর ভগ্নপ্রায় দশার জন্য সংখ্যালঘু দপ্তরের সমালোচনা করেন। সাবির আহমেদ শিক্ষা আন্দোলনের সূচনা করে বলেন, “শিক্ষা আন্দোলনের ১৩দফা দাবিদাওয়া পূরণে আগামী ২৫ শে আগস্ট বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে সংগঠন। ওইদিন দুপুর ১টা কলেজ স্কোয়ারে জমায়েত করে বিধানসভার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবে মিছিল।” সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে হাজির ছিলেন, এসআইও-র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুজাক্কির, আসিকুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। এসআইও-র দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল, এসএসসি, এমএসসি, সিএসসি, পিএসসি, প্রাইমারি সহ অন্যান্য চাকরির শূন্যপদ পূরণে দুর্নীতি মুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিস্পত্তি করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষন নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। অগ্নিপথ প্রকল্প বাতিল করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে ধর্মীয় বৈষম্য দূর করতে হবে। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়ন দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct