রঙ্গিলা খাতুন, খড়গ্রাম, আপনজন: উন্নয়ন থেকে শুরু করে যেকোনো সরকারি কাজের অসুবিধা হয়ে দাড়িয়েছে আজব গ্রাম। কেন জানেন! কারণ একটি গ্রামেই চারটে থানা শুধু তাই নয় দুটি জেলাও রয়েছে। শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই বাস্তব। চার থানা নিয়ে নাজেহাল গ্রামের মানুষ। এই গ্রামের অবস্থান নিয়ে ভুক্তভোগী গ্রামের আপামর মানুষ। দুটি প্রতিবেশী জেলার সীমানা ভাগ করেছে তাদের। একটি গ্রাম হলেও রয়েছে চারটি থানার। সীমানার বেড়াজালে কার্যত সাধারণ জীবন যাপনে বেগ পেতে হচ্ছে গ্রামের আট থেকে আশি সকলকেই।
এভাবেই বছরের পর বছর ধরে বসবাস করছেন হাজার হাজার মানুষ। এই ছবি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের ঝিল্লি এলাকার । প্রত্যন্ত এই এলাকায় রয়েছে টিঠিডাঙ্গা গ্রাম । মুর্শিদাবাদের একেবারেই শেষ প্রান্ত এবং বীরভূম দুটি জেলার মধ্যে অবস্থিত। একটি গ্রাম রয়েছে চারটি থানার অধীনে। সমস্যায় জর্জরিত চারটি থানা এলাকার বাসিন্দারা। কোন প্রয়োজনে কোন থানায় যাবেন, বুঝেই উঠতে পারেন না। নবগ্রাম থানা, মারগ্রাম থানা, নলহাটি থানা, খড়গ্রাম থানা চারটি থানার বাসিন্দারা গ্রামে বসবাস করেন এই গ্রামে । কারো ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে বীরভূমের কোন একটি স্কুলে, অথচ বসবাস মুর্শিদাবাদের গ্রামে। এভাবেই চলতে চলতে গ্রামবাসী নিজামুদ্দিন শেখ, নির্মল সাহারা চাইছেন তাদের সীমানা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোক। প্রশাসনিক কাজ কর্ম থেকে যেকোন সমস্যার সমাধানে হয়রানি কমুক। গ্রামবাসী নির্মল সাহা বলেন “ রাস্তার কাজ কিংবা থানার কোনো কাজে গেলে, পঞ্চায়েত এবং থানা আমার এলাকা নয় বলে হয়রানি হতে হয়। “ গ্রামবাসী ফজলে সেখ বলেন “ কাগজপত্র ক্ষেত্রে একবার সমস্যা সৃষ্টি হলে জীবন নাজেহাল হয়ে পড়ে। “গ্রামবাসীতে সমস্যার কথা কারো অজানা নয়। ছেলে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরাও মেনে নিচ্ছে, সমস্যা রয়েছে । সমাধানে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হোক সেটা তারাও চাইছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct