মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: বর্ধমানের নাম এক সময় ছিল শরিফাবাদ ।সেই জামানা মুঘল পাঠান যুগ ।সেই সময়ের বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন অবজ্ঞা ও অবহেলার কারণে মুছে যাচ্ছে । কেন্দ্রের বর্তমান বিজেপি সরকার যখন এনআরসি এবং সি এ এ করে সংখ্যালঘু মুসলমানদেরকে বিদেশি প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। ঠিক সেই সময় পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ বছরের পুরানো মসজিদ কবরস্থান ঈদগাহ। এখানে কোনো কোনো জায়গায় একজন ও মুসলিম নেই। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামার কারণে নিরাপত্তার কারণে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন । বর্ধমান বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে মিয়ার বের এলাকায় দেখা গেল এক প্রাচীন মসজিদ। যদিও বর্তমানে মসজিদকে সুসজ্জিত করা হয়েছে । মসজিদ বা মসজিদের সংলগ্ন জমি জায়গা বেশিরভাগ বেদখল হয়ে গেছে। আগে অনেক মানুষের কবর থাকলেও বর্তমানে কয়েকটি কবর দেখা যাচ্ছে । বর্ধমানের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় এইগুলোর দিকে সেভাবে নজরদারি করছে না সরকারি নজরদারিরও অভাব। প্রাচীন মুঘল এবং পাঠান স্থাপত্য নষ্ট হতে বসেছে। বর্ধমান শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় বহু সংখ্যক সংখ্যালঘু মুসলমানের বসবাস থাকলেও সেই দিকে নজরদারি করার মত সেভাবে কোন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । বর্ধমানের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মনোয়ার হোসেন এইসব নিদর্শন গুলি তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। বর্ধমানের আর এক বিশিষ্ট সাহিত্যিক ইতিহাসবিদ ডক্টর রমজান আলি বলেন অবিলম্বে সরকারি ভাবে এর সংরক্ষণে ব্যবস্থা করুক। প্রাচীন বর্ধমান শহর যার নাম ছিল শরিফাবাদ যেখানে ৮০০ বছরের বেশি মুসলিম শাসকেরা রাজত্ব করার পর অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন রেখে গেছেন কিন্তু সেগুলোর সংরক্ষণের অভাবে প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন গুলি মুছে যাচ্ছে ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct