আপনজন ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারে থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নীতি আয়োগের সপ্তম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক রবিবার দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে। এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দেশের প্রায় সব মুখ্যমন্ত্রী হাজির থাকলেও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই বৈঠক এড়িয়ে যান। ২০১৯ সালের জুলাইয়ের পর এটিই ছিল গভর্নিং কাউন্সিলের প্রথম বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান। নীতি আয়োগের এই গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে ২৩ জন মুখ্যমন্ত্রী, তিনজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর, দুই জন প্রশাসক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। এদিন নীতি আয়োগের বৈঠকের আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে ফসলের বৈচিত্র্য এবং তৈলবীজ, ডাল এবং কৃষি-সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা, জাতীয় শিক্ষানীতি-স্কুল শিক্ষা বাস্তবায়ন, জাতীয় শিক্ষানীতি-উচ্চ শিক্ষা বাস্তবায়ন এবং শহুরে প্রশাসন প্রভৃতি। এদিনের নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রের উচিত রাজ্য সরকারগুলির দাবিগুলি “আরও গুরুত্বসহকারে” দেখা এবং তাদের উপর কোনও নীতি চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের এই বৈঠকে রাজ্যের উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে ‘বৃহত্তর সহযোগিতা’ থাকা উচিত। তবে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো আরও বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) কার্যকর করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে চাপ দেওয়া উচিত নয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এনইপি বাস্তবায়নে আগ্রহী ছিল না। এনইপি পরীক্ষা করার জন্য এবং শিক্ষা বিষয়ে একটি রাজ্য-স্তরের নীতির প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়নের জন্য এপ্রিলে বিশেষজ্ঞদের ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে আরও বেশি সহযোগিতা হওয়া উচিত, তিনি বৈঠকে প্রায় ১৫ মিনিট ভাষণ দেন। কলকাতার ঝড়ের পূর্বাভাস থাকায় জরুরি ভিত্তিতে তিনি নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে কলকাতার পথে রওনা দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct