আপনজন ডেস্ক: ১৫০ বছরের অধিক গড় আয়ু হবে মানুষের। সেই প্রযুক্তি এখন মানুষের হাতের মুঠোয় এসে গেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার স্নায়ু শল্য চিকিৎসা বিজ্ঞানী গেরি হেইট আবিষ্কার করে ফেলেছেন এই বায়োচিপ। সিলিকন প্রযুক্তিবিদ্যার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে জীবদেহের আনুষঙ্গিক বস্তুকণা। অর্থাৎ হার্ডওয়্যারের সঙ্গে নরম কোষকলার সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। এই চিপ মস্তিষ্কে স্থাপন করার সঙ্গে সঙ্গে এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায় পার্কিনসন বা কম্পন রোগ। বিজ্ঞানী হেইট এটি পরীক্ষা করেছেন সাইবর্জ নামে জনৈক রোগীর মস্তিষ্কে। ৭৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি শার্টের বোতাম খুলতে এবং লাগাতে পারতেন না। এখন তিনি দিব্যি তা লাগাতে পারছেন। নিজে নিজে আপন মনে সব কিছুই করতে পারছেন। ১৫ বছর পর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে কেঁদে ওঠেন তিনি। বিজ্ঞানী গেরি হেইট বলেন, যাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা অকেজো, কিংবা দূর্বল হয়ে গেছে। এমন একটি সিলিকন চিপ তাদের মস্তিষ্কে বসানোর সঙ্গে সঙ্গেই ফিরে পাচ্ছে নব জীবনের প্রাণ-চাঞ্চল্য। এখন দরকার কেবল পর্যাপ্ত টাকা-কড়ি। একজন মানুষের মগজে এই চিপ স্থাপন করতে ২০ হাজার ডলার খরচ পড়বে। তবে এতে রোগীর জীবনে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে, সে তুলনায় অর্থটা খুব অল্পই বলা চলে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই চিপ আসলে সুবিন্যস্ত এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন মাইক্রোপ্রসেসর। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করে। আকস্মিক শক্তি বা বেগকে বৈদ্যুতিক কমান্ডে রূপান্তর করে। স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত এর ইলেকট্রিক কমান্ড শরীরের মাংসপেশীকে কার্যকরভাবে উদ্দীপ্ত ও প্রভাবিত করে। রোগী চলৎশক্তি ফিরে পায়। এই প্রাণ প্রযুক্তি গবেষণার বাস্তব পরীক্ষা হয়েছে। এখন এটি খুব সহজে বাণিজ্যিক প্রসারতাও পেতে যাচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct