সেখ মহম্মদ ইমরান, কেশপুর, আপনজন: প্রধান শিক্ষক সুরেশ চন্দ্র পড়িয়া চেষ্টাতেই শেষ পর্যন্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের মধ্যস্থতায় বন্ধ হল নাবালিকার বিয়ে। ঘটনাটি কেশপুরের গোলাড়ে। সূত্রে খবর, গোলাড়ের বাসিন্দা ওই নাবালিকা গোলাড় সুশীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। কিন্তু বিদ্যালয়ে না আসায় প্রধান শিক্ষক সুরেশ পড়িয়া বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী ক্লাবের ছাত্রী শুভ্রা চৌধুরী,ঋতিসা কারক,অর্পিতা রায়,কুলসুমা খাতুনদের দ্বারা খোঁজ পান ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ের পোশাক পরিধান করে বিদ্যালয়ের আসার পথে এক যুবকের সঙ্গে মন্দিরে গিয়ে মাথায় সিঁদুর দিয়ে পালিয়েছে। এই কথা শুনেই তৎপর হন প্রধান শিক্ষক। তিনি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বুধবার রাতে কেশপুর থানা, বিডিও ও জেলা শিশু দপ্তরের সহায়তায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে তাকে হোমে পাঠানো হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরেশ চন্দ্র পড়িয়া এই সাফল্যের জন্য কন্যাশ্রী ক্লাব সহ সকলকে অভিনন্দন জানান।স্কুল সূত্রে খবর, ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যে ঠিক নয়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সচেতনতা শিবির হয়েছে।প্রধান শিক্ষকের কথায়, ‘‘অনেক গ্রামবাসী এখনও সচেতন নন। কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্যও মানুষকে বোঝানো সহজ হচ্ছে। প্রশাসন ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে সচেতনতা আরো প্রচার করতে চাই আমরা।’’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct