সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়, আপনজন: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড় বিধানসভা এলাকায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ও ধুঁকতে থাকা গ্রন্থাগার গুলোকে প্রাণ ফিরিয়ে দিতে বা পুনরায় চালু করতে উদ্যোগী হয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক। সাম্প্রতিক এক ফেসবুক পোস্টে ভাঙড়ের বিধায়ক পীরজাদা নওসাদ সিদ্দিকী গ্রন্থাগার বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন ভাঙড়ের জনসাধারণের কাছে। তাছাড়া নতুন লাইব্রেরি স্থাপনের জন্যও জমি চেয়েছেন তিনি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি ও পেজের পাশাপাশি নওসাদ সিদ্দিকী ‘আমার ভাঙড়’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুফেও পোস্ট টি শেয়ার করেন। সেখানে তিনি জানতে চান ভাঙড়ে ধুঁকতে থাকা ও বন্ধ হয়ে যাওয়া গ্রন্থগার সংখ্যা সম্পর্কে। তিনি আরও লেখেন ভাঙড় বিধানসভা এলাকার মধ্যে বেসরকারি ভাবে নতুন লাইব্রেরি স্থাপন করতে চায় একটি সংস্থা। সেক্ষেত্রে তিনি ভাঙড়বাসীর কাছে জমি দেওয়ার আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের ভাঙড় গার্লস হাই স্কুলের পাশে ভাঙড় পাবলিক লাইব্রেরি টি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আগাছায় ভরেছে লাইব্রেরি চত্ত্বর। অপরদিকে পোলেরহাট স্কুল রোডের ধারে পোলেরহাট পল্লী পাঠাগার ও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বন্ধ। এছাড়াও ভাঙড় বিধানসভা এলাকার ১৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একাধিক লাইব্রেরি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। কিছু লাইব্রেরি আবার ধুঁকতে ধুঁকতে চলছে। কোথাও লাইব্রেরিয়ান নেই তো , কোথাও আবার ভালো বইয়ের সমাহার নেই। তাছাড়া পাঠকেরও সেভাবে দেখা নেই। মোবাইল গেমেই ব্যাস্ত এখনকার বেশিরভাগ পড়ুয়া ও যুব সমাজ। ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রীড এলাকার মাছিভাঙা গ্রামের বাসিন্দা ‘বইপ্রেমী’ শিক্ষক মহম্মদ মফিজুল ইসলাম এ ব্যাপারে আপনজন প্রতিনিধিকে বলেন, “ছাত্র ও যুব সমাজ বই ছেড়ে মোবাইল মুখী হয়ে পড়ছে। পুনরায় বই মুখী করতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের সচেতন হতে হবে। এ ব্যাপারে বিধায়কের উদ্দোগকে সাধুবাদ জানাই।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct