আপনজন ডেস্ক: অনেক সময় দেখবেন, দীর্ঘদিন আলু ফেলে রাখলে তাতে অঙ্কুর গজাতে শুরু করে। আসলে এই অবস্থায় আলুর মধ্যে গ্লাইকোঅ্যালকয়েডগুলির মাত্রা বাড়তে থাকে। এই আলু খেলেই শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, আলুতে সোলানাইন ও ক্যাকোনাইন নামক গ্লাইকোঅ্যালকয়েড থাকে। এই যৌগগুলি টম্যাটো ও বেগুনেও থাকে। সামান্য মাত্রায় এই যৌগগুলি শরীরে গেলে তা স্বাস্থ্যকর। এতে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকে। এই যৌগগুলি রক্তচাপ ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে বেশি মাত্রায় শরীরে গেলেই বিষক্রিয়া হতে পারে। আলুতে অঙ্কুর গজাতে শুরু করলে এর মধ্যে গ্লাইকোঅ্যালকয়েডগুলির মাত্রা বাড়তে থাকে। এই আলু খেলেই শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে। অনেকে আলুর অঙ্কুর কেটে ফেলে দিয়ে বাকিটা রান্না করেন। এটিও নিরাপদ নয়। কারণ সোলানাইন শুধু মাত্র অঙ্কুরে তৈরি হয় না, গোটা আলুতেই তৈরি হয়। ফলে বাকি আলু পেটে গেলেই শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে। এই প্রকার আলু নিয়মিত খেলে আন্ত্রিকের আশঙ্কা বেড়ে যায়। অনেকের মাথাব্যথা শুরু হয়। বিপুল পরিমাণে গেলে কেউ কোমায় চলে যেতে পারেন। দীর্ঘ দিন ধরে শরীরে সোলানাইন গেলে স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বাদের এই খাবার না খাওয়াই শ্রেয়। আপাত ভাবে নিরীহ আলুই হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct