নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: তিন কিলোমিটার পায়ে হেঁটে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মালদা জেলা পরিষদের শিশু-নারী ও ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ মারজিনা খাতুন।শু ক্রবার ওই মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি চাল, ডাল, কাপড় ও কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন তিনি। পরবর্তীতে পরিবারেরপাশে থাকারও আশ্বাস দেন মারজিনা। জানা যায় হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বাংরুয়া গ্রামের বাসিন্দা সেখ মধু প্রায় ছয় মাস আগে অন্ধ্রপ্রদেশে ঠিকাদারের সঙ্গে ভবন নির্মাণে জোগানদারের কাজ করতে যায়।এক সপ্তাহ আগে কাজ চলাকালীন হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ঠিকাদার সংস্থার লোকেরা নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যায়। গত শনিবার রাত দশটা নাগাদ হৃদরোগে মারা যায় বলে খবর।তিন দিন পর মঙ্গলবার ওই মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের কফিন বন্দী দেহ বাড়ি পৌঁছালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরিবার সহ আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁর অকাল মৃত্যুতে গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। আরো জানা যায় মৃত দেহটি বাড়িতে পৌঁছানোর দিন মৃত মধুর স্ত্রী রুবিনা খাতুন প্রচন্ড প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মালদার এক বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি হলে সেখানে এক ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। স্বামীর মৃতদেহটি তিনি দেখতে পাননি। বর্তমানে তিনি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছে। মৃত পরিযায়ী শ্রমিক মধুর বাবা সেখ আবিদ জানান, মধু ছিল তৃতীয় সন্তান ও পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। দেড় বছর আগে বিয়ে করেছিল সে। পরিবারের মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দেওয়ার জন্য ভিন রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশে কাজ করতে যায়। গত শনিবার হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়। কর্মাধ্যক্ষ মারজিনা খাতুন জানান,এদিন তার পরিবারের লোকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরিবারের লোকেদের সমবেদনা জ্ঞাপনের পাশাপাশি নিজ তহবিল থেকে কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন।সরকারিভাবে সবরকমের সুবিধা পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct