সম্প্রীতি মোল্লা, কলকাতা, আপনজন: জামিন পেতে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে রাজি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জামিন খারিজের পেছনে প্রভাবশালী তকমা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই বিধায়ক পদে ইস্তফার ইচ্ছা পার্থের। শুক্রবার ব্যাংকশাল আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যাতে জামিন হয়ে যায় তার সম্পূর্ণ চেষ্টা করছেন তাঁর আইনজীবী। আদালতে এদিন তিনি জানিয়েছেন, যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদও ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। তিনি সাধারণ মানুষ হয়েই থাকতে চান। কিন্তু কোনও প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে এইভাবে আটকে রাখার কোনও অর্থ নেই বলেই দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী।পাশাপাশি এও জানিয়েছেন যে, এলআইসির সব নথি ভুয়ো।আদালতে এদিন পার্থর আইনজীবীর দাবি, -’ যা উদ্ধার হয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে, এতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও যোগ নেই। তাছাড়া যে ৩১ টি এলআইসি পলিসির কথা বলা হচ্ছে তা ভুয়ো, কারণ রক্তের সম্পর্ক না থাকলে নমিনি করা যায় না। এখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অর্পিতার কোনও রক্তের সম্পর্ক নেই। ঘুষ দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় চাকরি দিয়েছেন এমন কেউই বলেনি এখনও। এর কোনও প্রমাণও নেই। তা সত্ত্বেও পার্থ ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। ২২, ২৪ ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। প্রমাণ ছাড়া কেউ কী ভাবে দোষী হতে পারে’, সেই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি।আইনজীবীর আরও দাবি,-’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বয়স ৭২ বছর এবং তাঁর সব সময়ে ওষুধের প্রয়োজন। তাই তাঁর জামিন হওয়া খুব জরুরি। প্রয়োজনে তিনি প্রভাবশালী তকমা ছেড়ে দিয়ে, বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়ে একেবারে সাধারণ হয়ে থাকবেন’। এই যুক্তিতেই তাঁর জামিন চেয়েছেন আইনজীবী। যদিও আদালত পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ জারি করেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct